গাইবান্ধায় শীতজনিত রোটা ভাইরাসে বেড়েছে শিশু ডায়রিয়ার প্রকোপ। গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছে ৫৯ শিশু।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য মাত্র ২০টি আসন রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন হাসপাতালে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি হওয়ায় জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। ফলে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অভিভাবকরা জানান, হঠাৎ করে পাতলা পায়খানার সাথে বমি শুরু হয়ে দেখা দেয় ডায়রিয়া। এরপর খাবার স্যালাইন ও বিভিন্ন ওষুধ খাওয়ানোর পরও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।
এক শিশুর মা বলেন, হঠাৎ করেই তার দেড় বছরের শিশুটি বমি করতে থাকে। পরে বমির সঙ্গে শুরু হয় পাতলা পায়খানা। ঘনঘন বমি ও পায়খানার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতালে ভর্তির পর স্যালাইন দিয়েছে কিন্তু এখনও কোনও উন্নতি হয়নি।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ সুলতান আহম্মদ জানান, শীতকালের শেষে রোটা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেয়। পাঁচ বছরের নিচের শিশুরা এই ডায়রিয়ার বেশি আক্রান্ত হয়। সাধারণত এটি ঔষধে সাড়ে না। দুই-তিন দিন, সর্বোচ্চ সাতদিন পর্যন্ত এ ডায়রিয়ার স্থায়িত্ব থাকতে পারে।
অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অস্থির না হয়ে শিশুদের পানিশূন্যতা রোধে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন ও রাইস স্যালাইন খাওয়ানোর পরামর্শ দেন এ চিকিৎসক
গাইবান্ধায় ৭ দিনে তিন শতাধিক শিশু হাসপাতালে
Tag: Zilla News
No comments: