বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে আলট্রা ম্যারাথন। 'ভ্রমণ হোক দায়িত্বশীল' এই স্লোগানে ৩টি ক্যাটাগরিতে অংশ নিয়েছেন দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রতিযোগী। মাদকমুক্ত সমাজ ও পর্যটন এলাকার পরিবেশ রক্ষায় ভ্রমণকারীদের দায়িত্বশীলতা বাড়াতে এই ম্যারাথন ভূমিকা রাখবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আলট্রা ম্যারাথনকে জনপ্রিয় করতে এ ধরণের আয়োজন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
কক্সবাজারের পূর্ব আকাশে তখনো সূর্য দেখা যায়নি। ঠিক তখনই মেরিন ড্রাইভ সড়কের ইনানী থেকে শুরু হয় ম্যারাথন। এটি প্রথমবারের মতো কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে আলট্রা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অল্প সময়ে ইনানী সৈকত, এরপর পাতোয়ারটেক পয়েন্ট অতিক্রম। তারপর সূর্যের আলোর দেখা। সব মিলিয়ে প্রথমবারের মতো মেরিন ড্রাইভে ম্যারাথনে অংশ নিতে পেরে দারুণ খুশি প্রতিযোগীরা।
এক প্রতিযোগী বলেন, অনেক দূর থেকে জার্নি করে শুধু এই মেরিনড্রাইভে অংশ নেয়ার জন্য এসেছি।
এক নারী বলেন, প্রথমবারের মতো এসেছি। এটা খুবই ইনজয় করছি।
অরণ্যঘেরা পাহাড় আর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এরই মাঝে পিচঢালা পথ। এ পথই মেরিন ড্রাইভ। যা শেষ হয়েছে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে। প্রতিযোগিরা বলছেন, মাদকমুক্ত সমাজ ও পর্যটকদের পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করতে আয়োজনে তাদের অংশ নেয়া।
আয়োজকরা বলছেন, ম্যারাথনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ, পর্যটনের উন্নয়ন এবং সৈকত ও সৈকতপাড়ের জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এই আয়োজন।
মেরিন ড্রাইভ আলট্রা ২০২০ এর রেস ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, পরিবেশে দূষণ হতে পারে এমন অনেক জা আমরা করে থাকি। এই সচেতনতাটা তৈরি করার জন্যই এই ম্যারাথনের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছি।
কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্র সৈকত থেকে টেকনাফ সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত ৩টি ক্যাটাগরি ৫০, ১০০ ও ১৬১ কিলোমিটার দূরত্বের এই আলট্রা ম্যারাথনের সময়সীমা ১০, ২৪ ও ৩৬ ঘণ্টা।
No comments: