Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » করোনা থাকলেও জ্বর না থাকলে স্ক্যানারে ধরা পড়বে না




করোনা থাকলেও জ্বর না থাকলে স্ক্যানারে ধরা পড়বে না চীনের উহান থেকে বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। তবে বাংলাদেশে এখনো করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন এটা ভেবে স্বস্তিতে থাকার সুযোগ নেই। এই বিষয়ে কথা বলাতে সময় সংবাদ গিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলামের কাছে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মুজাহিদ শুভ। সময় সংবাদ: থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস খুব সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব কিনা? আর কি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: থার্মাল স্ক্যানার- নামটা শুনেই মনে হচ্ছে, যদি কারো শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় তাহলে সেটা ধরা পড়ে। এখান কেউ একজন থার্মাল স্ক্যানারের মধ্য দিয়ে আসলো, কিন্তু তার যদি জ্বর না থাকে তাহলে ধরা পড়বে না। যদি জ্বর থাকে তাহলে ধরা পড়বে। এমন হতে পারে যে, বিমানে ওঠার সময়, দুই বা আড়াই ঘণ্টা ফ্লাইট, গ্যা ম্যাজম্যাজ করছে বা একটা জ্বর জ্বর ভাব আছে দেখে দুটো প্যারাসিটামল খেয়ে নিলো একজন লোক। সে যদি আসে তাহলে থার্মাল স্ক্যানারে কিন্তু সে ধরা পড়বে না। সেজন্য এখানে যদি আমরা আরেকটু মনোযোগ দেই এবং তাকে জিজ্ঞাসা করি যে, আপনার কি জ্বর এসেছিলো কিনা। তাহলে সে যদি বলে যে, আমি আসার সময় প্যারাসিটামল খেয়ে এসেছি। তাহলে যদি থার্মাল স্ক্যানারে ধরা নাও পড়ে তাহলেও আমরা তাকে কোয়ারেন্টাইন করবো। এটা করা উচিৎ। সময় সংবাদ: তার মানে সচেতনতা দুই দিক থেকেই প্রয়োজন? একজন ব্যক্তি তো নিজের রোগের বিষয়টি গোপনও করতে পারেন। অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: আমরা আশকোনায় হাজি ক্যাম্পে তাদের কোয়ারেন্টাই করেছি। অনেকেই বলছেন, মানবেতর! আসলে মানবেতর না। ওখানে তাদের খাওয়া দাওয়া ভালো দেয়া হচ্ছে। শুধু খাট দেয়া হয়নি। কারণ, খাট পাওয়া যায়নি। কিন্তু ভালো ম্যাট্রেস দেয়া হয়েছে। সেখানে একটা রোগীর চেয়ে আরকটা রোগীর দূরত্ব এক মিটার। এটাই হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড। সে অনুযায়ী দূরত্ব দেয়া হচ্ছে। মানবেতর বলে লোকের মধ্যে একটা খারাপ ধারণা দেয়া ঠিক না। সময় সংবাদ: যে যাত্রীরা বিমানে করে আসছেন, পরীক্ষা করার জন্য তাদের নিজেদেরও সতর্ক হওয়ার কিছু আছে কিনা? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: সবাই মনে করেন, একটু ফাঁকি দিতে পারলেই ভালো। কিন্তু একথা ঠিক, ফাঁকি দিয়ে গেলেন। সেখানে আপনার বাসায় মা-বাবা আছেন, ভাই-বোন পরিবারের সবাই আছে। তাদেরও আপনি আক্রান্ত করবেন। সেক্ষেত্রে আপনার নিজেরই বিবেকে এটা বাধা দেয়া উচিৎ। এই ম্যাসেজটা তাদের দিতে হবে যে, তিনি যদি আক্রান্ত হনও, অন্য কাউকে যেনো আক্রান্ত না করেন। একটা অ্যাডাল্ট লোক, যে কিনা বিমানে জার্নি করছেন তাকে বুঝালে বুঝবে না কেনো। সময় সংবাদ: এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। শনাক্ত করণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা জানতে পারছিলাম যে, নমুনা বাংলাদেশ থেকে অন্য দেশে পাঠানোর কথা শোনা যাচ্ছিলো। এখন বাংলাদেশ খুব দ্রুততম সময়ে শনাক্ত করতে পারবে কিনা। অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: সে সক্ষমতা এখন বাংলাদেশের আছে। যে প্রাইমারটা আমাদের কাছে ছিলো না সেটা গত দুয়েকদিন আগে আমাদের এখানে চলে এসেছে। আইইডিসিআরের ডিরেক্টর, যেখানে একমাত্র করোনা টেস্ট হয়, উনি বলেছেন, ওটা আমাদের কাছে এসেছে। এখন আমরা ওটা আলাদাভাবে টেস্ট করে রেজাল্ট দিতে পারবো। সময় সংবাদ: হাসপাতালগুলোর এখন থেকেই কেমন প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: দেখা গেছে যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের যদি অন্য অসুখ থাকে, ডায়াবেটিস, হার্টের কিংবা লাঞ্চের কোনো সমস্যা থাকে বা এইচআইভি পজিটিভ থাকে তাহলে তারা বেশি কাহিল হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি। সেজন্য হাসপাতালগুলোকে সেভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাতে কেউ করোনাভাইরাস নিয়ে আসলে তাদের যেনো এসব অসুখ এবং করোনা একসঙ্গে ট্যাকল করা যায়। সময় সংবাদ: আইস্যুলেশনের যে মডেল, সে অনুযায়ী রুমের ব্যবস্থা আমরা করতে পেরেছি কিনা? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: আইস্যুলেশনের রুম এমন হওয়া উচিৎ যে, একটা রুমে একটা রোগী আছে সেই রোগী একাই থাকবে। সেখান থেকে কোনো বাতাস যদি বাইরে যায় তাহলে একটা ফিল্টারের মধ্য দিয়ে যাবে। ঘরের মধ্য থেকে কোনো ভাইরা বা ব্যাকটেরিয়া যেনো ঘরের মধ্য থেকে বের না হতে পারে। এটা হলো আইডিয়াল আইস্যুলেশন। এমন আইডিয়াল আইস্যুলেশন আমরা আমরা কিন্তু করতে পারি নাই। তবে যেটা করা হয়েছে সেটা অনেকাংশে, প্রায় একশ ভাগের কাছাকাছি উদ্দেশ্যটা সফল করতে পারবো। সময় সংবাদ: উহান থেকে ইতোমধ্যে ৩১২ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। বাকি যারা চীনে আছেন তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিৎ কিনা? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা উচিৎ। কারণ, চীনে থাকলে তারা কোনো অতিরিক্ত সুবিধা পাচ্ছে না। করোনা ভাইরাসের জন্য কোনো ওষুধ চীনেও নাই আমাদের দেশেও নাই। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আমাদের কাছেই আসুক। আমরাই তাদের চিকিৎসা করবো, আমরাই ব্যবস্থা নেবো। আমাদের বাচ্চারা আমাদের কাছে আসবে। তারা ভালো ফিল করবে, আমরাও ভালো ফিল করাবো। সময় সংবাদ: একটার পর একটা ভাইরাস আসছে। একটার চেয়ে আরেকটা বেশি শক্তিশালী। এক্ষেত্রে আইইডিসিআরের যে সক্ষমতা এখন পর্যন্ত আছে তা আরো বাড়ানো উচিৎ কিনা? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: আইইডিসিআরের সক্ষমতা অবশ্যই বাড়ানো উচিৎ। আইইডিসিআরের এখন বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা করতে হবে। করোনা ভাইরাসের একটা ইউনিট, সোইনফ্লু, বার্ডফ্লুর একটা ইউনিট; এমনকি আমাদের দেশে ডায়রিয়া আউটব্রেক হলেও ওরাই যায়। সুতরাং এটা অনেক বড় করা উচিৎ। সময় সংবাদ: মাস্ক নিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়ে গেছে। এখনি মাস্ক পরার প্রয়োজন আছে কিনা? অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম: আমাদের দেশে এখনো করনো ভাইরাসের একটাও রোগী ধরা পড়েনি। তাহলে এখন মাস্ক কেনো পরবো। করনো ভাইরাসের জন্য কেনো মাস্ক পরবো? এমনিতেই রাস্তাঘাটে ধুলাবালির জন্য পড়তে পারে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ইনফেকশন যেনো না হয় সেজন্য মাস্ক পরবো কেনো? দার্শনিক হলো কারা? একটা ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে একটা কালো বিড়াল খুঁজছে, যে বিড়ালটি ওই ঘরে নাই। করোনা তো নাই। তার জন্য মাস্ক পরবেন কেনো? রোদ-বৃষ্টি নাই, আমি ছাতা ধরলাম!






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply