Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » এবার নারীরাও ভারতীয় সেনার নেতৃত্ব




ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবার পুরুষের পাশাপাশি নেতৃত্ব দানকারী পদে থাকতে পারবেন নারীরাও। সোমবার এমনই এক আদেশ দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি এ বিষয়ে সরকারের যুক্তিগুলোকে ‘বৈষম্যমূলক’, ‘অপ্রীতিকর’ এবং স্টেরিওটাইপ বা গৎবাঁধা ধারণার ওপর নির্ভরশীল বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এনডিটিভি জানায়, সোমবার সেনাবাহিনীতে নারী কর্মকর্তাদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের ব্যবস্থা কার্যকর করার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। ঐতিহাসিক এ রায়ে একমাত্র কমব্যাট উইং ছাড়া সেনাবাহিনীর সব স্তরে আগামী তিন মাসের মধ্যে এই নিয়ম চালু করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। সেখানে নারীরা যেন পুরুষদের মতোই সমান সুযোগ-সুবিধা পান, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছেন আদালত। সোজা ভাষায়, নারী সেনা কর্মকর্তারা তাদের পুরুষ সহকর্মীদের মতোই মেধার ভিত্তিতে কর্নেল বা তার ওপরের পদে পদোন্নতি পাবেন। শর্ট সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আওতায় যে নারীরা ১৪ বছরের বেশি সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন, তাদের স্থায়ী কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেন শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির ডিভিশন বেঞ্চ জানান, সেনাবাহিনীতে নারীদের নিয়োগ একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপ। এ নিয়ে কোনোরকম বৈষম্য চলবে না। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে চিকিৎসা পরিষেবার বাইরে অন্য ভূমিকায় নারীদের নিয়োগ শুরু হয় ১৯৯২ সালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থায়ী কমিশনড অফিসার পদে অর্থাৎ ২০ বছর কাজ করার সুযোগ তারা পাননি। পদোন্নতি বা পেনশনের আশা বাদ দিয়ে শুধু ১৪ বছর কাজের সুযোগ পেয়ে আসছেন নারীরা এ পর্যন্ত। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন এ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে সশস্ত্র বাহিনীতে যুদ্ধ করার এবং কমান্ডিং অফিসার পদে নিয়োগ পাওয়ার অধিকার আদায় করেছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫৭ জন নারী। কিন্তু হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১০ সাল থেকে সেই আবেদন বিচারাধীন ছিল। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট সোমবার প্রশ্ন করেন, হাইকোর্টের রায়ের ওপর তো শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ দেননি। তাহলে কেন নির্দেশটি এর আগে কার্যকর করা হয়নি? সম্প্রতি এ বিষয়ে নতুন করে শুনানি শুরু হলে আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার যুক্তি দেখায়, সেনাবাহিনীর সদস্যদের একটি বড় অংশ আসেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে। তাই নারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালনের মতো উপযুক্ত মানসিকতা তাদের মধ্যে তৈরি হয়নি। এমনকি দৈহিক গঠন সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতার কারণে মেয়েরা যুদ্ধ করার যোগ্য নন বলেও আদালতে দাবি করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মাতৃত্ব, শিশু পরিচর্যা, যুদ্ধক্ষেত্রে বিপক্ষের হাতে ধরা পড়ার বিপদ ইত্যাদি প্রসঙ্গও তুলে ধরা হয়। এসব যুক্তি নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনাও করেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেন, ‘পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন নারীরা। কেন্দ্রের যুক্তি পুরনো গৎবাঁধা ধারণাপ্রসূত এবং লিঙ্গ বৈষম্যমূলক। নারী সেনা অফিসাররাও দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।’ এর আগে ২০১৮ সালের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী কমিশনড পদে নারীদের নিয়োগ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সব শাখায় এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে কিনা, তা স্পষ্ট করে বলেননি তিনি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply