ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস। খেলবেন চলতি বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ডে। তবে, ব্যাটসম্যান সাদমানের কবজি ও পেসার মৃত্যুঞ্জয়ের কাঁধের ইনজুরি এখনো সেরে ওঠেনি। দ্রুত মাঠে ফিরতে এ মাসের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানো হতে পারে বলে জানান, বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। এদিকে, সুস্থ্য হয়ে মাঠে ফিরতে নিয়মিত অনুশীলন করছেন জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
ব্যর্থতার সঙ্গে টাইগারদের পিছু নিয়েছে ইনজুরি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ইনজুরিতে পড়েছিলেন ইমরুল। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে জিম্বাবুয়ে সফর থেকেও বাদ পড়তে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। যদিও গুঞ্জন উঠছিল, পাকিস্তান সফরে মিস্টার ডিপেন্ডেবল না যাওয়ার মাসুল হিসেবে বিসিবির এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু বোর্ডের চিকিৎসক নিশ্চিত করলেন। দু'জনই পুরোপুরি ফিট। চলতি বিসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে খেলতে পারবেন মুশি। বিসিবি চাইলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠেও দেখা যেতে পারে এই দু'জনকে।
চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, মুশফিকের ইনজুরিটা গ্রেড ওয়ান ইনজুরি হওয়ায় আমরা আশা করছিলাম যে ফেব্রুয়ারির মাঝ বরারবর ও ইনজুরি থেকে উঠে আসবে। তবে ইমরুলের ইনজুরিটায় ধারণা ছিল যে আরো বেশি সময় লাগতে পারে। তবে দুজনই টেস্টে উতরে গেছেন।
৭ ফেব্রুয়ারী থেকে পাকিস্তানের করাচিতে শুরু হওয়া টেস্টে অটো চয়েজ ছিলেন ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম। বিপিএলের পর বিসিএলেও খেলেননি। তবে, কবে নাগাদ মাঠে ফিরবেন এই ওপেনার? সাদমানের মতই কাঁধের ইনজুরিতে ধুঁকছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দরের পেসার মৃত্যুঞ্জয়। সম্ভাবনাময় এই দুই ক্রিকেটারের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য, বিসিবি চলতি মাসের শেষ দিকে তাদের অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা ভাবছে।
অভিষেকের পর নিজেকে দারুণ ভাবে মেলে ধরেন সাইফউদ্দিন। গেলো বিশ্বকাপে নিজের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন দলকে। কিন্তু, ইনজুরি সব কেড়ে নিলো। চোট কাটিয়ে দীর্ঘ সময় পর সুস্থ্য হয়েছেন এই অলরাউন্ডার। তবে, এখনো ম্যাচ ফিট নন তিনি। মিরপুরে একাডেমী মাঠে তাই নিয়মিত অনুশীলন করছেন। লক্ষ্যটা পরিস্কার করলেন, অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যই নিজেকে প্রস্তুত করছেন সাইফউদ্দিন।
এদিকে, পেটের পেশীতে টান লাগায় গুরুতর ইনজুরিতে আছেন জাতীয় দলের আরেক খালেদ আহমেদ।
ব্যর্থতার পর টাইগারদের পিছু নিয়েছে ইনজুরি
Tag: games
No comments: