Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » কী আছে ট্রাম্পের গাড়ি ‘দ্যা বিস্ট’-এ




মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য নির্মিত বিশেষ গাড়ির নাম ‘দ্য বিস্ট’। ট্রাম্প যেখানেই যান না কেন, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো দেশেও, এই গাড়ির কারণে প্রেসিডেন্টের উপর কড়া নজর রাখতে পারে হোয়াইট হাউস। প্রেসিডেন্টের গাড়িতে এমন সব অত্যাধুনিক সুবিধা আছে, যা জানলে তাক লেগে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের গাড়ির জানলায় পাঁচটি স্তর আছে। তা কাচ এবং পলিকার্বনেট দিয়ে দিয়ে নির্মিত। শুধুমাত্র চালকের পাশের জানলা ছাড়া আর কোনও জানলার কাচই নামানো যায় না। চালকের পাশের জানলার কাচ মাত্র তিন ইঞ্চি নামানো যায়। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ভেদ করে যাবে এমন বুলেটও এই গাড়ির জানলার কাচ ভেদ করতে পারবে না। এই গাড়ির বডি তৈরি হয়েছে স্টিল, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম এবং সেরামিকস‌্-এর কম্বিনেশনে। যা পাঁচ ইঞ্চি মোটা এবং অত্যন্ত শক্ত। কোনও সাঁজোয়া গাড়ির থেকে কম নয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই গাড়ি। গাড়ির সামনে রয়েছে কাঁদানে গ্যাসের গ্রেনেড লঞ্চার এবং নাইট ভিশন ক্যামেরা। গোটা গাড়িটাই নিরাপত্তায় মোড়া। গাড়ির মধ্যেই পাম্প অ্যাকশন শটগানস‌্ এবং‌ জরুরি অবস্থার জন্য প্রেসিডেন্টের জন্য সব সময় মজুত রাখা হয় রক্তের ব্যাগ। আছে অগ্নিনির্বাপন যন্ত্রও। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেই চালক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। চালকের হাত এতটাই পোক্ত যে, যে কোনও পরিস্থিতিতে সুদক্ষভাবে গাড়ি চালাতে ওস্তাদ তিনি। বিপদের আঁচ পেলেই দ্রুত প্রেসিডেন্টকে সুরক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেবেন। তিনি ১৮০ ডিগ্রি ঘোরাতে পারেন গাড়িকে। প্রেসিডেন্টের গতিবিধির উপর সরাসরি যোগাযোগ রাখে পেন্টাগন। তার জন্য পিছনের সিটে স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে। যার সাহায্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পিছনের আসনে আরও চার ব্যক্তি বসতে পারেন। চালক এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যে একটি কাচের পার্টিশন আছে। যার সুইচ আছে প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্ট চাইলে তবেই সেই কাচের পার্টিশন নামবে। এছাড়া প্রেসিডেন্টের কাছে আছে একটি প্যানিক বোতাম এবং আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্টের এই গাড়িতে অত্যাধুনিক সেন্সর লাগানো আছে। কোনও রকম নিউক্লিয়ার, কেমিক্যাল বা বায়োলজিক্যাল হামলার আগেই তা বুঝে নেয় এই সেন্সর এবং সেই মতো প্রতিক্রিয়াও জানায় গাড়ি। বিস্ফোরণ প্রতিরোধক ফোম দিয়ে পরিপূর্ণ গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক। সরাসরি ট্যাঙ্কের মধ্যে হামলা হলেও কোনও বিস্ফোরণ হবে না। গাড়ির স্টিল রিমের টায়ার কখনও ফাটবে না। আর যদি তা কখনও ফেটেও যায়, তা হলেও গাড়ি চালাতে চালকের কোনও অসুবিধা হবে না। এমন প্রযুক্তিতেই তৈরি করা হয়েছে টায়ার। গাড়ির পুরো কাঠামোতেই স্টিল রয়েছে, যা বোমা এবং মাইন থেকে গাড়িকে রক্ষা করবে। এই গাড়ি সঙ্গে লাগানো আছে উলম্ব অ্যান্টেনা। যা খুব সহজেই যাতায়াতের রাস্তায় যে কোনও কমিউনিকেশনকে এবং একই সঙ্গে রিমোট ডিটোনেটিং ডিভাইসকে জ্যাম করে দিতে সক্ষম। মানবহীন এয়ার ভেহিকলকেও শনাক্ত করতে সক্ষম। এছাড়াও, প্রেসিডেন্টের কনভয়ে আরও অনেকগুলো গাড়ি থাকে। যার একটিতে থাকে প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক, ক্যাবিনেট মেম্বার। এছাড়া প্রেসিডেন্টের গাড়ির ঠিক পিছনে থাকে হাফব্যাক। যাতে থাকেন সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply