করোনায় ভেষজ ওষুধ ব্যবহারে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি

নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রতিষেধক বা ওষুধ না থাকায় অনেকেই বিকল্প উপায়ে ভেষজ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা চালাচ্ছেন। কিছু দেশের সরকারও উৎসাহ দিচ্ছে ভেষজ ওষুধ ব্যবহারে। তবে এসব ওষুধের কার্যকারিতা বিষয়ে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকায় উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রায় ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো ওষুধ আবিস্কার করা সম্ভব হয়নি। অতি মাত্রায় সংক্রামক এই ভাইরাস এরই মধ্যে ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। তাই প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি ও আক্রান্তের সংখ্যা। আর এমন অবস্থায় প্রাচীন ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতির দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দুই দেশ চীন ও ভারত। করোনাভাইরাস মহামারির রূপ নেয়ার পরপরই চীন সরকার দাবি করে, এ রোগের চিকিৎসায় ভেষজ ওষুধ বেশ কার্যকর। আর একই মত দিচ্ছেন ভারতের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। বেইজিং ইউনিভার্সিটি অব চাইনিজ মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল স্পেশালিষ্ট মা জিংটন জানান, অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। আর এ ক্ষেত্রে প্রাচীন ঔষুধই আমরা ব্যবহার করছি। নেহেরু হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অনু কাপুর জানান, ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আমরা আর্সিনিকাম অ্যালবাম থার্টি ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এদিকে কোভিড চিকিৎসায় এসব ওষুধের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি না থাকায় তা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিউয়াকওয়াচ অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. স্টেফেন বারেট বলেন, এই ওষুধ কোনো রোগের ক্ষেত্রে কাজ করবে কিনা সে বিষয়ে আগে নিশ্চিত হতে হবে। আর তা না হলে এসব ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। তবে এসব কিছুকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অল্প টাকায় সহজে মেলায় প্রাচীন ভেষজ ওষুধেই খুঁজছে মুক্তি।