কেন খুলছে পোশাক কারখানা?
চীন, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, কম্বোডিয়ার মতো প্রতিযোগী দেশে খুলেছে পোশাক কারখানা। তাই এখনই উৎপাদনে না গেলে চলমান ক্রয়াদেশ বাতিলের পাশাপাশি আগামীতে আছে ক্রেতা হারানোর শঙ্কা। সে কারণেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
চীনের পরিচিতি বিশ্বের কারখানা হলেও পোশাকের বাজারে তাদের পরে আছে বাংলাদেশ, ভিয়েতনামের নাম। গত ক মাসে করোনার কারণে সারা বিশ্বেই ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলো আক্রান্ত হওয়ায় বাতিল হয়েছে ক্রয়াদেশ।
করোনার প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ক্রেতা দেশগুলো। তাদের চাহিদা সামাল দিতে এরই মধ্যে কারখানা চালু করেছে চীন, ভিয়েতনামের মতো বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগীরা। তাই এখনই উৎপাদনে না গেলে পোশাকের বাজার চলে যেতে পারে তাদের হাতে। দেখা দিতে পারে স্থায়ী সংকট।
গত এক মাস কিছু কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু থাকলেও কোনো সংক্রমণ হয়নি, দাবি করছেন বিজিএমইএ নেতারা। তাই এখন সীমিত পরিসরে কারখানা চালু করা গেলে গ্রীষ্মের ক্রয়াদেশ পূরণ করে শরৎ ও শীতের কার্যাদেশ পাওয়া যাবে বলেও মনে করছেন তারা।
তবে এখনই কারখানা চালুর বিপক্ষে এ খাতের বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, প্রতিযোগী দেশে যেভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে, বাংলাদেশে তা হয়নি। তাই কারখানা খুললে শ্রমিক আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি।
কোনো প্রতিষ্ঠান যদি কারখানা চালু করে, তবে তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদও দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদেরা।
Tag: others

No comments: