Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » করোনাভাইরাস: নিউ ইয়র্কে এক ডাক্তারের আত্মহত্যা




যুক্তরাষ্ট্রের করোনাযুদ্ধে সামনের সারিতে কর্মরত নিউ ইয়র্ক শহরের এক ডাক্তার আত্মহত্যা করেছেন। ডাক্তার লরনা ব্রিন নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের প্রেসবিটারিয়ান অ্যালেন হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগের পরিচালক ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি নিজেই নিজেকে ক্ষত বিক্ষত করে মৃত্যুবরণ করেন। ৪৯ বছর বয়সী এই ডাক্তারের বাবা ড. ফিলিপ ব্রিন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, সে তার চাকরি করার চেষ্টা করছিলো আর সেটাই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তার মানসিক অসুস্থতার কোনো ইতিহাস ছিলো না। লরনা তার পরিবারের সাথে ভার্জিনিয়ার শার্লোটেসভিলাতে থাকতো। সেখানেই সে মৃত্যুবরণ করে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকার ৫৬,০০০ মানুষের মধ্যে নিউ ইয়র্ক শহরেই মৃত ১৭,৫০০ জন। নিজের কাজ করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন লরনা। সপ্তাহখানেকের একটু বেশি বিশ্রাম নিয়ে আবার কাজে ফেরেন তিনি। হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়। তারপর তার পরিবার তাকে শার্লোটেসভিলাতে নিয়ে যায়। বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন বাবার সঙ্গে যখন শেষ কথা হয় তখন লরনাকে খানিকটা বিচ্ছিন্ন মনে হয়। বাবাকে তিনি বলেন, কিভাবে কোভিড-১৯ এর রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর আগেই মৃত্যু হয়েছে। ম্যানহাটনে ২০০ শয্যার ওই হাসপাতালে কয়েক ডজন মানুষ করোনাভাইরাসের কাছে নতি স্বীকার করেছে। লরনার বাবা বলেন, তাকে যেন নায়কের মতো প্রশংসা করা হয়। জানা যায়, লরনা তার বাড়িতেও সপ্তাহে একদিন বৃদ্ধদের স্বেচ্ছাসেবা দিতেন। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের প্রেসবিটারিয়ান অ্যালেন হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, লরনা জরুরি বিভাগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অনেকগুলো আদর্শ ওষুধ সামনে এনেছেন, তিনি একজন হিরো। তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে সেখানকার পুলিশ বিভাগও তাকে হিরো হিসেবেই অভিহিত করে। বলা হয়, ২৬ এপ্রিল সাহায্য চেয়ে ফোন করেন লরনা। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। পুলিশ প্রধান রাশাল ব্র্যাকনি বলেন, প্রথম সারির স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তারা বা প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া প্রদানকারীদের মহামারীর মানসিক ও শারিরীক প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করা হয়না। তারা সবচেয়ে মানসিক চাপযুক্ত পরিবেশে প্রতিদিন কাজ করেন। করোনাভাইরাস তো আরো নতুন মানসিক চাপ যোগ করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। পরে বিশ্বব্যাপী সেটা মহামারী রূপ ধারণ করে। বর্তমানে সারাবিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে দুই লাখেরও বেশি মানুষ আর আক্রান্ত ৩০ লাখেরও বেশি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply