পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মানুষের উপচেপড়া ভিড়
ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলে শিল্প কারখানা ও গার্মেন্টস খুলে দেয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে দেখা দিয়েছে নারী-পুরুষের উপচেপড়া ভিড়। নজরদারীর অভাবে করোনা ঝুঁকি নিয়ে সামাজিক দূরুত্ব না মেনে বিভিন্ন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ছুঁটছেন তারা। এদিকে কর্মজীবী মানুষকে জিম্মি করে ফেরি কর্তৃপক্ষ ও পরিবহন চালকরা আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া।
পেটের দায়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার শ্রমিক-কর্মজীবী মানুষেরা ফেরি পার হয়ে দলে দলে ছুটছেন নিজ কর্মস্থলে। যাচ্ছেন ঢাকা, আশুলিয়া ও গাজীপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে। নিজ অফিসের কর্মকর্তাদের নির্দেশে চাকরি রক্ষায় তারা ভুলেই গেছেন মরণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ। ঘাট এলাকায় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে সামাজিক দূরুত্ব বজায় না রেখেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে যানবাহনে আসছেন তারা।
এদিকে এই মানুষদের ঢাকা ফেরতকে পুঁজি করে ফেরির ইজারাদার ও পরিবহন চালকরা আদায় করে নিচ্ছেন অতিরিক্ত ভাড়া। এ নিয়ে ঢাকা ফেরত মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও চাকরি রক্ষায় সব সহ্য করতে হচ্ছে তাদের। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার বিষয়টি যানবাহন চালকরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন ফেরির ইজারাদারা।
এদিকে, রোগীবাহী ও পচনশীল যানবাহন ফেরিতে পারাপারে নির্দেশনা থাকলেও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষের সামনেই অবাধে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে নৌরুটে কর্মরত কর্মকর্তারা রয়েছেন করোনা ঝুঁকিতে। এরই মধ্যে দৌলতদিয়া ঘাটের দুই কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে মোট ১৬টি ফেরি নিয়োজিত থাকলেও জরুরি পচনশীল ও রোগীবাহী যানবাহন পারাপারের জন্য ৫টি ফেরি কাজ করছে।
Tag: Advertisement others

No comments: