Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার ক্লাব ফুটবলের গল্প




সমর্থক ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট খেলা 'ফুটবলকে' কল্পনাও করা যায় না। হালের সমর্থকরা ফুটবল বলতে বোঝে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলকে। মুগ্ধ হয় রিয়াল, ডর্টমুন্ড, লিভারপুল, মার্সেই কিংবা ইয়ুভেন্তুসের ক্রেজি ফ্যানদের দেখে। অথচ এশিয়ার ফুটবলেরও রয়েছে শত বছরের ইতিহাস আর ঐতিহ্য। এমনকি খেপাটে সমর্থকের দিক থেকেও পিছিয়ে নয় বিশ্বের বৃহত্তম মহাদেশটির ফুটবল। তেমনি কিছু এশিয়ার দেশের লিগ আর তাদের ফ্যানদের নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের থাকছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার ক্লাব ফুটবলের গল্প। মেশিনগান ভারী ট্যাংক আর ফুটবল ফ্যানদের সমন্বিত কোরাস। তিনটাই যেখানে একসাথে পাবেন ধরে নেবেন, সেটাই সিরিয়া। মধ্য এশিয়ার ফুটবলের অন্যতম পাওয়ার হাউস, ৯ বছর পার হলো চলছে গৃহযুদ্ধ। চারদিকে শুধু ধ্বংসলীলা আর স্বজনহারাদের আহাজারি। এর মধ্যেও বেঁচে থাকার একমাত্র অনুপ্রেরণা এই ফুটবল। ২০১১ সালটা বাদ দিলে ৬৬ তে শুরু হওয়া সিরিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ থাকেনি কখনই। ১৪ দলের এই আসরের সবচাইতে সফল দল আল জায়েশ এসসি। সিরিয়ান ক্লাব ফুটবল কথা বলা হবে আর লাতাকিয়া ডার্বির কথা বলা হবে না তা কি হয় ? এশিয়ার অন্যতম খেপাটে ডার্বির তকমা পেয়েছে এই লাতাকিয়া ডার্বি। তিসরিন আর হাতিন এসসির মধ্যে চলমান ৭৩ বছরের দ্বৈরথ এখন ঝড় তোলে দেশটির সমর্থদের মাঝে। দু'ভাগে ভাগ হয়ে যায় পুরো সিরিয়া। সিরিয়ার প্রথম ক্লাব হিসেবে ২০০৬ সালে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিলো আল-কারামা এফসি। আর ২০১৩ সালের পর আল জায়েশ ছাড়া অন্য কোন দল জিততে পারেনি দেশটির প্রিমিয়ার লিগ। যা কিছুটা হলেও জৈলুশ কমিয়েছে লিগের। গড়ে সিরিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ম্যাচপ্রতি দর্শক হয় হাজার তিনেকের মতো। অথচ ২০১০ মৌসুমের আগে যে সংখ্যাটা ছিলো ১১ হাজার। ম্যাচের দিন, মাঠে লক্ষ্যকরা যায় নিরাপত্তারক্ষীদের সজাগ দৃষ্টি। তবে আশার কথা হলো, এ পর্যন্ত ফুটবল মাঠে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে গৃহযুদ্ধের দেশে বেঁচে থাকাই যেখানে বড় প্রশ্ন সেখানে কখনও কখনও ফুটবল হয়ে যায় বিলাসিতা। সিরিয়াই বিশ্বের একমাত্র লিগ যেখানে খেলছে না কোন বিদেশি খেলোয়াড়। এমনকি ফুটবলারাও পান নাম মাত্র সম্মানি। তুখোড় স্কিলের কারণে সিরিয়ান ফুটবলারদের দিকে বরাবরই তীঘ্নদৃষ্টি থাকে ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক নামিদামি ক্লাবের। বর্তমানে বিভিন্ন লিগে খেলছেন দেশটির জনা পঞ্চাশেক খেলোয়াড়। তাইতো ভালো মানের ফুটবলারের অভাবে, কিছুটা হলেও বিবর্ণ সিরিয়ান প্রিমিয়ার লিগ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply