২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৯৯০ জন সংক্রমিত,ভারতের মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত বাড়ল ৮১১

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমছে বলে গতকাল, শনিবারই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দাবি করা হয়েছিল, আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার সময় বেড়েছে এবং করোনায় আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হারও বেড়েছে। সব মিলিয়ে স্বস্তির হাওয়া ছিল। কিন্তু তার মধ্যেই এক দিনে দেশে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রেকর্ড তৈরি হল। ক্লাস্টার এলাকায় সংক্রমণের হার বেড়ে চলায় উদ্বেগ আরও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে দেশের ৬৮ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রয়েছেন ২৭টি জেলায়। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১৯৯০ জনের শরীরে। তবে এর মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮১১ জন। পর্যবেক্ষকদের মতে, মহারাষ্ট্রে নতুন আক্রান্তের এই বিপুল সংখ্যার জন্যই সারা দেশেও সেই সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। এর সঙ্গেই দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়ে গেল ২৬ হাজার। রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ২৬৪৯৬ জন। অন্য দিকে এখনও পর্যন্ত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৮০৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ৮২৪ জনের। তার মধ্যে রবিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৪৯ জন। তার মধ্যে শুধু মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৩২৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাত। সে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩৩ জনের। এর পর মধ্যপ্রদেশে ৯৯ জন এবং দিল্লিতে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু দেশের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাতেও শীর্ষে মহারাষ্ট্র। রবিবার সকাল পর্যন্ত সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৭৬২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত ৮১১ জন। মহারাষ্ট্রের মতো গুজরাতেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। গুজরাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০৭১। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬২৫। এর পর আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে পর পর রয়েছে রাজস্থান (২০৮৩), মধ্যপ্রদেশ (২০৯৬) তামিলনাড়ু (১৮২১), উত্তরপ্রদেশ ১৭৯৩, অন্ধ্রপ্রদেশের (১০৬১) মতো রাজ্য। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ আরও পড়ুন: সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমেছে, আশায় কেন্দ্র কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬১১ জন। তার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ জন। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে রাজ্যে ৪২৩ জন সক্রিয় করোনা রোগী রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ১৮।