Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » টাঙ্গাইলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত





 টাঙ্গাইলে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলায় যমুনাসহ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে ১১টি উপজেলায়ই বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। রাস্তা ঘাট ও ব্রিজ ভেঙে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বন্যার পানিতে। গ্রাম ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার পৌর এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, এসব মানুষ পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

 জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, আজ (২৫ জুলাই) যমুনা নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 
জানা যায়, জেলায় ১২টি উপজেলার মধ্যে শুধু মধুপুর ছাড়া বাকি ১১টি উপজেলার নিমাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্য কবলিত উপজেলাগুলো হলো- টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী, ধনবাড়ী, গোপালপুর, বাসাইল, মির্জাপুর, সখীপুর ও ঘাটাইল। এ ১১টি উপজেলার ৭৯টি ইউনিয়নের অন্তত ৫৫৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে ৬টি পৌরসভা আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে এ পর্যন্ত চার শিশুসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। 
জেলা প্রশাসন সূত্র আরও জানায়, এবারের বন্যায় ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৩০০টি। আর পানিবন্দি লোক সংখ্যা এক লাখ ৭৩ হাজার ২০০ জন। অপরদিকে ৭৬১টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং আরও আংশিক ২৮ হাজার ৮৯৫টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও দুটি স্কুল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আংশিক আরও ৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙনে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৩৬টি প্রতিষ্ঠান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ১১ উপজেলার ৬২১ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে।  
জেলায় এখন পর্যন্ত দুই কিলোমিটার সম্পূর্ণ কাঁচা রাস্তা এবং ৬০০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপরদিকে ৮১ কিলোমিটার পাকা রাস্তা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও সম্পূর্ণ ৫টি ব্রিজ এবং আংশিক ৪৯টি ব্রিজ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বন্যাদুর্গত এলাকার ৭৬৮৬টি টিউবওয়েল সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডুবে গেছে পানির নিচে। এতে এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে।   
জেলায় মোট ৩৯টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এই আশ্রয়কেন্দ্রের লোক সংখ্যা ৩ হাজার ২০১ জন। ১৮টি গবাদি পশুও আশ্রয় নেয়। ১১৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৬০০ মেট্রিকট্রন চাল, নগদ ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অপরদিকে শিশু খাদ্য দুই লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ছয় লাখ টাকা এবং শুকনা প্যাকেট ছয় হাজার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, প্রথম দফায় বন্যায় টাঙ্গাইলে ৩ হাজার ৮৩৯ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২৭ হাজার ২৩৩ জন। আর দ্বিতীয় দফায় বন্যায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৬ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে বোনা আমন, রোপা আমন (বীজতলা), আউশ, সবজি ও লেবু রয়েছে।  
এদিকে টাঙ্গাইল শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। গত দুই দিনের ভাঙনে সদর উপজেলার শিবপুর পাথ বেথর এলাকায় পুংলী নদীর পাশে বাঁধের ২৫০ মিটার ভেঙে গেছে। ভাঙন ঠেকাতে আপতকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিদিনই ফেলছে জিও ব্যাগ। এ পর্যন্ত রাস্তার কিছু অংশসহ বাঁধে অনেকটাই ভেঙে গেছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, টাঙ্গাইল শহরকে রক্ষা করার জন্য ও ভাঙন প্রতিরোধে পুংলী নদীর পাশে ২৫০ মিটারের মধ্যে ১২ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে বাঁধ হুমকির মুখ থেকে রক্ষা পাবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন এলাকার রক্ষাবাঁধ ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। পানি সরে গেলে নদী ভাঙন তীব্র হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply