আর্চারকে ‘বর্ণবিদ্বেষী’ গালি দিয়েছে ইংলিশ সমর্থকরা
দলের জৈব-নিরাপত্তা ব্যবস্থা মানেননি জফরা আর্চার। প্রটোকল ভেঙে গিয়েছিলেন নিজ বাড়িতে। খেসারতও দিয়েছেন ইংল্যান্ড পেসার, ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বাদ পড়ে। বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে তাকে। সময়টাতে ব্যাপক সমালোচনা আর বর্ণবিদ্বেষী গালমন্দ শোনার কথা জানিয়েছেন আর্চার।
সাউদাম্পটন থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ড যাওয়ার পথে প্রটোকল ভেঙে সাসেক্সে বাড়িতে একবার ঢু মেরেছিলেন আর্চার। খেসারত হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট শুধু বাদই পড়েননি, এক ম্যাচের ফি জরিমানা গোনার সঙ্গে বোর্ডের থেকে কড়া হুঁশিয়ারিও শুনতে হয়েছে।
ডেইলি মেইলকে লেখা কলামে আর্চার মেনে নিয়েছেন এসব শাস্তি তার প্রাপ্য। বিশ্বকাপ জেতানো নায়ক থেকে এক মিনিটে ভিলেন বনে যাওয়াতে যে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে, সেটাও মানতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেমন খ্যাতি আছে, বিপরীতে সমর্থকদের গালমন্দ শোনা হরহামেশার ব্যাপার বুঝতে পারলেও বর্ণবাদের কড়া অভিযোগও তুলেছেন বার্বাডোজে জন্ম নেয়া কৃষ্ণাঙ্গ পেসার। অভিযোগ, বেশ কিছু সমর্থক তাকে গায়ের রং ধরে কটু কথা বলেছেন।
‘ইনস্টাগ্রামে গত কয়েকদিন ধরে বর্ণবিদ্বেষী অনেক মন্তব্য শুনেছি, আমার সিদ্ধান্ত হচ্ছে যথেষ্ট হয়েছে। যেদিন ক্রিস্টাল প্যালেসের ফুটবলার উইলফ্রেড জাহা মাত্র ১২ বছর বয়সী এক কিশোরের দ্বারা বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছে, সেদিনই সীমারেখা টেনে দিয়েছি, যা কেউ অতিক্রম করতে পারবে না। সুতরাং আমার অভিযোগ ইসিবিকে জানিয়ে দিচ্ছি, যাতে সবকিছু যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই হয়।’
‘কোনকিছুই ইদানীং ঠিকমতো হচ্ছে না। মাঝে মাঝে মনে হয় পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয়- বাস্তব ও সত্যিই তাই। শেষ কয়েকদিনে অসংখ্য ফলোয়ারকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে মুছে ফেলেছি। এদেরকে আর ফেরানো হবে না। সাউদাম্পটন টেস্টে মাত্র দুই উইকেট পেয়েছি, আর সবাই সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে। এ খামখেয়ালিপনা, আমরা এক অস্থির দুনিয়ায় বাস করছি।’
No comments: