দামে সস্তা হওয়ায় মেহেরপুরে অললাইন হাটে কুরবানীর পশু কেনার ধুম
মেহেরপুর প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহাকে ঘিরে মেহেরপুরের মানুষের মধ্যে কুরবানীর পশু কেনার ধুম পড়েছে। দামে কম হওয়ার এবার জেলায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি পশু কুরবানী হবে।
মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন পশুর অনলাইন হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে প্রচুর পরিমান গরু উঠেছে। তবে খামার মালিকরা বললেন পশুর দাম অনেক কম। আর ক্রেতারা জানালেন পশুর মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। এবছর বাজারে উঠা গরুর দাম প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম। তাই ক্রেতারা একটু তাজা ও মোটা গরুর কেনার দিকে ঝুঁকছেন। তরে যারা একটা আস্ত গরু কেনার কথা ভাবছেন তারা ছোট গরুর দিকে ঝুঁকছেন। সে ক্ষেত্রে বড় গরুর চেয়ে তুলনামুলকভাবে দামে ঠকা হচ্ছে তাদের।
মেহেরপুর পৌর পশুহাটে কথা হয় ব্যাঙ্কার আব্দুস সামাদের সাথে। তিনি জানান, এবছর তুলনা মূলকভাবে পশুর দাম কম। তাই অনেকে এবছর কুরবানী দিতে পারবেন। দাম কম হওয়ার কুরবানী দেয়ার ইচ্ছে অনেকের পূর্ন হবে। মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের গোভীপুর গ্রামের মহিবুল ইসলাম জানালেন, ছোট একটা বে-সরকারি চাকরি করি। কুরবানী দেয়ার নিয়্যাত করে গরু কিনতে বের হয়েছি। গতবারের মত পশুর দাম বেশি থাকলে কুরবানী দেয়ার সমর্থ হত কিনা সন্দেহ ছিলো। মনোহরপুর গ্রামের আব্দুস সালাম জানালেন, একটা আস্ত গরু কেনার কথা ভাবছিলাম। তবে বড় গরুর ভাগা নেয়া ছাড়া ছোট গরু কেনাতে পত্তা কম হচ্ছে।
মেহেরপুর শহরের ওয়াপদাপাড়ার জাহাঙ্গীর জানালেন, প্রায় এক বছর ধরে গরু মোটাতাজা করন করেছি দু’পয়সা লাভের আশায়। এবার সে আশায় ছাই পড়েছে। হাটে গরু তুলেছি ৫০ হাজার টাকা দামের। গরুর দাম উঠছে মাত্র ৩৫ হাজার টাকা। একই এলাকার সাইদুল জানান, প্রতি বছরই গরু পালন করে থাকি। গরু পালনে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর আমাদের তেমন খোঁজ-খবর রাখেন না। গরু অসুস্থ হলে তাদের মোবাইলের মাধ্যমে জানালে তারা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এতে আমাদের খরচের পরিমান বেড়ে যায়।
No comments: