কষ্ট হলেও মেনে নিচ্ছেন তাসকিন
করোনাভাইরাসের কারণে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের। এবছর বৈশ্বিক আসরেও নামার সুযোগ নেই টাইগারদের। এশিয়া কাপের পর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপও পিছিয়ে যাওয়ায় খুবই নিরাশ তাসকিন আহমেদ। সময়ের কঠিন বাস্তবতাই এ পেসারের এখন একমাত্র সান্ত্বনা।
‘আসলে যখন লকডাউন শুরু হয়েছে, একটার পর একটা সিরিজ স্থগিত হয়েছে। আমাদের যে জাতীয় দলের গ্রুপ (হোয়াটস অ্যাপ) আছে, সেখানে একদিন দেখলাম শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ স্থগিত, পরে নিউজিল্যান্ড সিরিজ, এখন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপও ঠিক সময়ে হচ্ছে না। এই খবর যখন দেখি কষ্ট লাগে। এরমধ্যে থেকেই মানতে হবে আসলে সবার জন্যই তো একই নিয়ম। খারাপ লাগে, কিছু করারও নেই। মানিয়ে নিতে হবে।’
প্রায় পাঁচ মাস পর বৃহস্পতিবার প্রথমবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এলেন তাসকিন। রানিং দিয়ে শুরু করেন ব্যক্তিগত অনুশীলন। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা স্বস্তিদায়ক হলেও তার চোখ সামনে ম্যাচ খেলার দিকে।
‘এতদিন পরে মিরপুর স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। রানিং করেছি ভালো লাগছে, কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভালো লাগছে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পেরেছি, ড্রেসিংরুমে এতদিন পর ঢুকতে পেরেছি। মাঠে আসা আসলে অন্যরকম ভালো লাগা। বাসা থেকে এতদিন যতটুকু পেরেছি ট্রেনিং করেছি, কিন্তু মিরপুর স্টেডিয়ামে আসার সুযোগ হয়নি। আজ যখন প্রায় পাঁচ মাস পরে স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারলাম, একটা স্বস্তি লাগছে।’
‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে মাঝে মধ্যে অনেক অস্থির হয়ে যাচ্ছি, খেলতে পারছি না অনেকদিন ধরে। ঘরে থাকা মানে একঘেয়েমি সবকিছু। একই কাজ প্রতিদিন। আমার কাজই খেলাধুলা করা, খেলতেই পারছি না। অনেকের হয়ত জব শুরু হয়েছে, বিভিন্ন কাজ শুরু হয়েছে, কিন্তু খেলাটাই বন্ধ। নিঃসন্দেহে এটা একটু খারাপ লাগছে। দ্রুত যেন খেলা শুরু হয় সেটা কামনা করছি এবং দেশের পরিস্থিতি যেন ভালো হয়।’
টাইগাররা যখন ম্যাচ খেলতে নামবে মানতে হবে নতুন নিয়ম। বলে ব্যবহার করা যাবে না থুথু বা লালা। প্রাচীন আমল থেকেই সুইংয়ের জন্য পেসাররা বলের একপাশের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে লালা ব্যবহার করে আসছে, সেই নিয়ম নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। মাঠে খেলোয়াড়দের সুরক্ষিত রাখতে নতুন নিয়ম। এটি পেসারদের জন্য খুব কঠিন হলেও তাসকিনের আশা বলের ধার ধরে রাখার বিকল্প উপায় ঠিকই বের হবে।
‘দিন যত যাচ্ছে পেসারদের বিরুদ্ধেই সব নিয়ম যাচ্ছে কিন্তু। এখন শাইন করা কমে যাচ্ছে, কারণ থুথু লাগানো যাবে না। পুরান বলে সুইংয়ের জন্য শাইনটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যেহেতু নিয়মটা বন্ধ হচ্ছে, নিশ্চয় সামনে বল উজ্জ্বল করার জন্য কোনো একটি পদ্ধতি বের হবে।’
‘নতুন নিয়ম হওয়ার পর আমাদের ক্রিকেট খেলা হয়নি। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দেখলাম, সবাই হাত মেলাচ্ছে ভিন্নভাবে, বল শাইন করছে ভিন্নভাবে। আশা করি আমাদেরও যখন খেলা শুরু হবে, কোনো না কোনো ভিন্ন উপায় বের হবে। এরমধ্যে থেকেই মানিয়ে নিতে হবে। একটু কঠিন পেসারদের জন্য, তারপরও মানিয়ে নেয়া শিখতে হবে।’
No comments: