Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী সংসদে কাঁদলেন




আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী সংসদে কাঁদলেন

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখার খাতার কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কারাগারে কী ধরনের যন্ত্রণায় থাকতেন, তা বাইরে বলতেন না। যা জানতে পেরেছেন, লেখা থেকেই জেনেছেন।’


আজ বুধবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একজন সংসদ সদস্যের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের বাসা শুধু আক্রমণই করা হয়নি, দীর্ঘ ৯ মাস লুটপাট করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর সবকিছু লুট হয়ে যায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর লেখার খাতাগুলো কেউ নেয়নি। মনে হয়, তাদের পছন্দ হয়নি। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে বাড়িও লুট হয়। এরপরও আমি খাতাগুলো উদ্ধার করি।’

বাবার লেখার খাতার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে চোখ মুছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বাবা যখন কুর্মিটোলা কারাগারে, ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন, তখন মা সবসময় একটা খাতা দিয়ে আসতেন লিখে রাখার জন্য। আমি গেলে আমাকে বাবা লেখার খাতাটা দিয়ে দিতেন। বলতেন, এখন খাতাটা পড়বি না। যখন আমি থাকব না, তখন পড়িস। এরপর আর খাতাগুলো ধরিনি।’


বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারাজীবনের কষ্ট যন্ত্রণা কিচ্ছু বলেননি আব্বা। যতটুকু জেনেছি এই লেখা পড়ে। তিনি নিজে থেকে বলতে চাইতেন না। রেহানাকে (শেখ রেহানা) জিজ্ঞেস করেছি, তুই কিছু শুনেছিস। ও ছোট ছিল, মাঝেমধ্যে আব্বার কাছে জানতে চাইত। সেদিনও ওকে জিজ্ঞেস করেছি। ও বলল, বাবা বলতেন, তোরা এগুলো জানলে সহ্য করতে পারবি না।’

‘বঙ্গবন্ধু কারাগারে কী ধরনের যন্ত্রণায় থাকতেন, তা বাইরে বলতেন না। যা জানতে পেরেছেন, লেখা থেকেই জেনেছেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৬৫–৭৭ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডিক্লাসিফাউট ডকুমেন্ট পুরোটাই সংগ্রহ করা হয়েছে। এ থেকে হয়তো কিছু জানা যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো হার্ডডিস্কে ছিল। এখন সেগুলো প্রিন্ট নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সময় ধীরে ধীরে দেখছি।’

এর আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক এক সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ‘পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু কেমন ছিলেন, এ বিষয়ে বই হতে পারে। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সংসদীয় রাজনীতি বিশ্বাস করতেন। পাকিস্তান আমলে সংসদের বিতর্কগুলো নিয়েও বই প্রকাশ করা যায়।’

জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশেষ অধিবেশন ডাকার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘যাতে সংসদের সাড়ে ৩০০ সংসদ সদস্য অন্তত সাত দিন আলোচনা করতে পারেন।’
https://www.facebook.com/watch/?v=606837573546432






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply