ওয়াশিংটন-তেহরান তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইল সফরে গেছেন মার্কিন সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক মিলে। আকস্মিক এ সফরে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ও প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনার করেন তিনি।
এদিকে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অব্যাহত সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ আরো জোরদার হয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে গেল কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন সাধারণ মানুষ। তবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এই বিক্ষোভকে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শনিবার নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে তার বাসভবন ঘেরাও করেন আন্দোলকারীরা। ব্যারিকেড দিয়েও আন্দোলনকারীদের রুখতে পারেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী। জলকামান ও লাঠিচার্জের পাশাপাশি চলে ব্যাপক ধরপাকড়।
নেতানিয়াহুর পদত্যাগের পাশাপাশি তাকে দুর্নীতির অভিযোগে অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
তারা বলেন, নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমাদের এ আন্দোলন নয়। বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু এই আন্দোলনের উপলক্ষ মাত্র। আমাদের প্রতিবাদ ইসরাইলের পুরো সরকার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। এই সরকার জনগণের কোনো কথাই শুনছে না। তারা আমাদের শত্রু ভাবছে। অথচ আমরা এ দেশের নাগরিক। এই সরকার ইসরাইলের টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হচ্ছে না। বিচার করা হচ্ছে না। আমরা এর বিচার চাই।
ইসরাইলজুড়ে তীব্র বিক্ষোভের মধ্যেই জেরুজালেম সফরে গেলেন মার্কিন সেনাপ্রধান মার্ক মিলে। ইরানের সঙ্গে তীব্র উত্তেজনা ও বাকযুদ্ধের মধ্যে শুক্রবার আকস্মিক সফরে গেলেও শনিবার এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
ঝটিকা সফরে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিইয়ামিন নেতানিয়াহুও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক আলোচনার জন্য এ সফরের কথা বলা হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় ভবিষ্যৎ সামরিক কৌশল নির্ধারণেই ইসরাইল সফরে গেছেন মার্কিন সেনাপ্রধান।
No comments: