Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ব্র্যাডম্যানের ১১২তম জন্মদিনে বিস্ময়কর ১২ তথ্য




ব্র্যাডম্যানের ১১২তম জন্মদিনে বিস্ময়কর ১২ তথ্য

'পৃথিবীতে তিন ধরণের মিথ্যা আছে, মিথ্যা কথা, চরম মিথ্যা কথা এবং এরপর আসে পরিসংখ্যান।' ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ বেঞ্জামিন ডিজরায়েলির এই উক্তিটি খুব বিখ্যাত। বাস্তবিক অর্থেই, রাষ্ট্রের অর্থনীতি, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বক্স অফিস রেকর্ড কিংবা হালের কোভিড পরিসংখ্যানই দেখুন না, সবাই বুঝে নেয় এসব তথ্যে কিংবা পরিসংখ্যানে রংচং মাখানো হয়ে থাকে। এসব পরিংসখ্যান যে সত্য কথা বলেনা তাতো সত্যি! তবে পরিসংখ্যান কি সবসময়ই অবাস্তব? কিছু ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান আপনাকে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পারে। অন্তত স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের পরিসংখ্যানগুলোই দেখুন। আজ ১১২তম জন্মদিনে পা পড়লো ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের। তার সম্পর্কে কিছু পরিসংখ্যান শুনে অন্তত তার গ্রেটনেসের ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা যেতে পারে। কিংবদন্তির ১১২তম জন্মদিনে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ১২টি বিস্ময়কর তথ্য। ১. টেস্টের ব্যাটিং গড়: ক্রিকেটের একটু আধটু খোঁজখবরও যারা রাখেন তারা এই তথ্যটি জানেন। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গড়টা অস্ট্রেলিয়ান এই কিংবদন্তির। গড়টা রীতিমতো চোখ কপালে তোলার মতো। ৫২ টেস্টে তার গড় ৯৯.৯৪! জীবনের শেষ টেস্ট ইনিংসে মাত্র ৪ রান করতে পারলেই তার ক্যারিয়ার গড় দাঁড়াতো ১০০! দুর্ভাগ্য, সেই সুযোগ তিনি পাননি। তবে যে মাইলস্টোন তিনি সেট করে গেছেন, শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও সেই মাইলফলকের ধারেকাছেও কেউ যেতে পারেননি। কাছাকাছি পরিসংখ্যানটা দেখলেই তার গ্রেটনেস আঁচ করতে পারবেন। কমপক্ষে ২৫ টেস্ট খেলেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড় আরেক অজি ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথের। টেস্টে তার গড় ৬২.৮৪। সুনীল গাভাস্কার এবং জিওফ বয়কট কিংবা আধুনিকযুগের শচীন এবং ভিভিএস লক্ষণের সম্মিলিত গড়ের চেয়েও বেশি গড় ব্র্যাডম্যানের! ২. প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যাটিং গড়: টেস্টে ব্র্যাডম্যানের গড়টা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু খুব কম মানুষই ডন ব্র্যাডম্যানের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট গড়টা জানেন। এই গড়টাও বিস্ময়কর। ২৩৪ ম্যাচে তার গড় ৯৫.১৪! দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গড় যার সেটি প্রায় ২০ পেছনে! ৩. অবিশ্বাস্য সেঞ্চুরিয়ান: টেস্টে সেঞ্চুরি তো অহরহই হচ্ছে। তারপরও তিন অংকের ফিগারটাকে এখনো ম্যাজিক ফিগারই বলা হয়। কারণ চাইলেই তো প্রতিদিন আর সেঞ্চুরি করা যায়না! তবে ব্র্যাডম্যান যেন সেটিই পারতেন! ক্যারিয়ারের প্রতি ২ টেস্টে গড়ে ১টিরও বেশি সেঞ্চুরি করেছেন এই ব্যাটিং গ্রেট! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫২টি টেস্টে তার সেঞ্চুরি ২৯টি। তার কাছাকাছি থাকা স্টিভ স্মিথ প্রতি ৫ ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি করেছেন। একইসঙ্গে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও প্রতি ২ ম্যাচে ১টি করে সেঞ্চুরি আছে ব্র্যাডম্যানের। ২৩৪টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে তার সেঞ্চুরি সংখ্যা ১১৭টি। তার আশেপাশেও আর কেউ নেই। ৪. বড় সেঞ্চুরিয়ান: ব্র্যাডম্যান সেঞ্চুরি করলে সেখানেই হাল ছাড়তেন না। চাইতেন সেঞ্চুরিটাকে আরো বড় করতে। পরিসংখ্যান দেখুন। ২৯টি টেস্ট সেঞ্চুরির মধ্যে ১০টিকেই বানিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি, এরমধ্যে দু'টোকে বানিয়েছেন ট্রিপল সেঞ্চুরিও! দুর্ভাগ্যবশত, একবার তিনি অপরাজিত থাকেন ২৯৯ রানে। সুতরাং, টেস্টে ব্র্যাডম্যানের সেঞ্চুরির চল্লিশ শতাংশকেই তিনি পরিণত করেছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। এখানে আরো একটি তথ্য দেয়া যেতে পারে, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন এমন ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ২১৬.৪৮! ৫. সেঞ্চুরি ছাড়াই অবিশ্বাস্য: সেঞ্চুরি পাননি তাতে কি! রান মেশিন থেমে থাকেনি। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৩৩৮ ইনিংসে করেছেন ১১৭টি সেঞ্চুরি। বাকি ২২১ ইনিংসে কি করেছেন? গড়টা দেখুন, ৫৮.২০! অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছেনা? জিওফ বয়কট কিংবা রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তিদেরও প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ার গড় যেখানে যথাক্রমনে ৫৬.৮৩ ও ৫৫.৩৩, সেখানে কেবল সেঞ্চুরিবিহীন ইনিংসগুলোতে ব্র্যাডম্যানের গড়টা ৫৮.২০! ৬. ব্র্যাডম্যানের ব্যর্থতা: স্যার ডন ব্র্যাডম্যান কি কখনো ব্যর্থ হয়েছিলেন? কিংবা হলে সেটি কেমন? ইতিহাসে তাকে যেবার ব্যর্থ বলা হলো সেটির রূপরেখাটা দেখা যাক। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড সফরে ব্র্যাডম্যানকে 'ব্যর্থ' উপাধি দেয় ব্রিটিশ মিডিয়া। সেবার এক ম্যাচে মাত্র(!) ৫৮ রান করেছিলেন ব্র্যাডম্যান। ৭. বডিলাইন থিওরিতে কুপোকাত? বলা হয়ে থাকে, ব্র্যাডম্যানের জন্য ক্রিকেটে বডিলাইন তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন ইংলিশ বোলার ডগলাস জারডাইন। বডিলাইন মূলত একজন ব্যাটসম্যানকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রেখে পেসারদের শরীর বরাবর তাক করে বোলিং করা, যাতে নিজেকে বাঁচাতে গেলে বল ব্যাটে লেগে ফিল্ডারের হাতে চলে যায়। জারডাইন সেবার বেশ সন্তুষ্টই ছিলেন, কারণ সেই সিরিজে ব্র্যাডম্যানের গড় ছিল ৫৬.৫৭। ৪ টেস্টে সেবার ১ টি সেঞ্চুরি ও ৩টি ফিফটি করেছিলেন ব্র্যাডম্যান। আর এতেই বেজায় সন্তুষ্ট ছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ব্র্যাডম্যানের গ্রেটনেস টের পাওয়া যায়? ৮. ক্রাইসিস ম্যান: দলের বিপদে সবসময়ই উদ্ধারকর্তা হয়ে আসতেন ব্র্যাডম্যান। টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৬ বার তিনি এমন পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নামেন যখন স্কোরবোর্ডে ১০ রান হওয়ার আগেই দল উইকেট হারিয়েছে। ওই ১৬ ইনিংসে তার টেস্ট গড়ো কতো জানেন? ১০৮.৫৩! ৯. যিনি ওপেনও করতে জানতেন: মূলত টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হলেও, ডন ব্র্যাডম্যান প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে বেশ কয়েকবার ওপেনিংয়েও নেমেছিলেন। ওপেন করতে নামা সেই ৯ ইনিংসে তার গড় ছিল ১০৪.৫০! সম্ভবত ওপেনিং করলে ক্যারিয়ার গড়টাও ১০০'র উপরেই থাকতো! ১০. ছক্কায় অক্কা: তিনি রানের পাহাড় গড়েছেন এটি সত্যি তবে কখনোই অযথা ঝুঁকি নেননি। বলা চলে, নিখুঁত টেস্ট ব্যাটিংটাই প্রদর্শন করতেন তিনি। একটি পরিসংখ্যান দেয়া যাক, পুরো টেস্ট ক্যারিয়ারে মাত্র ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ব্র্যাডম্যান। এরমধ্যে ৫টি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ১টি ভারতের বিপক্ষে। যদিও ক্যারিয়ারে ৬১৮টি চার হাঁকিয়েছেন ব্র্যাডম্যান! ১১. দ্রুততম রান সংগ্রাহক: ছক্কা হাঁকাতেন না ঠিকই, তারপরও দ্রুত রান তোলায় বেশ পারদর্শী ছিলেন স্যার ব্র্যাডম্যান। টেস্টে ১ সেশনে সেঞ্চুরি করাকে অনেক বড় কীর্তি হিসেবে দেখা হয়। ব্র্যাডম্যান সেটি করেছেন ৬ বার! ১৯৩০ সালে লিডস টেস্টে মাত্র তিন সেশনেই ট্রিপল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন ব্র্যাডম্যান! অবিশ্বাস্য না? ১২. অস্ট্রেলিয়ার এক-চতুর্থাংশ রানের মালিক: সবশেষ আরো একটি চমকপ্রদ তথ্য দেয়া যাক। ক্যারিয়ারে যতোদিন খেলেছেন, সেসময়ে পুরো অস্ট্রেলিয়া দলের মোট সংগ্রহের ২৬ শতাংশ রান করেছিলেন ব্র্যাডম্যান একাই! আগের কথায় ফিরে যাই। পরিসংখ্যান কি সবসময় মিথ্যে বলে? কিংবা ভুল ধারণা দেয়? না, এইসব পরিসংখ্যানগুলো আপনাকে সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানের ব্যাপারে কিছুটা ধারণা পেতে সহায়তা করবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply