Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » চীনের নজরদারিতে ভারতের ১০ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি, গোপন তথ্য ফাঁস




চীনের নজরদারিতে ভারতের ১০ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি, গোপন তথ্য ফাঁস

লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের জেরে তিন দফায় শতাধিক চীনা অ্যাপ বাতিল করেছে ভারত। এ বিষয়ে বিজেপি সরকারের অভিযোগ, ওই সব অ্যাপ ভারতের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে বিপজ্জনক। এমন পরিস্থিতিতে চীনা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতের বহু বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো। তারা জানাচ্ছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্তত ১০ হাজার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে শেংঝেনের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর ওই তদন্তমূলক প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনীতি থেকে বিনোদন, ক্রীড়া থেকে সংবাদমাধ্যম— এমনকি অপরাধী ও জঙ্গিদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে দক্ষিণ পশ্চিম চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন শহরের ‘শেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থা। তাদের অন্যতম ‘ক্লায়েন্ট’ চীনের শি জিং পিং সরকার, চীনের সেনাবাহিনী পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টি। যদিও ওই সংস্থার কেউ সংবাদপত্রের পক্ষে পাঠানো কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। সংস্থার এক কর্মকর্তা ব্যাপারটি ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে বিশদ মন্তব্য এড়িয়ে গেছেন। তদন্তমূলক প্রতিবেদনটির দাবি, নজরদারির তালিকায় রয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারের সদস্যরা, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহসহ শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। রাজনাথ সিংহ, নির্মলা সীতারামন, স্মৃতি ইরানি, পীযূষ গয়ালের মতো ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও নজরদারির আওতায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাসহ ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক, রাজস্থানের অশোক গহলৌত, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, পাঞ্জাবের অমরেন্দ্র সিংহের মতো অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্যও সংগ্রহ করছে ওই সংস্থা। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, রতন টাটা, গৌতম আদানির মতো শিল্পপতি এবং বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের সম্পাদক, ইউপিএ আমলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রাক্তন মিডিয়া উপদেষ্টা সঞ্জয় বারু এবং বিভিন্ন সাংবাদিক ও সংবাদব্যক্তিত্বও রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকের পরিবারের সদস্যদের তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে বলে দাবি। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের দাবি সচিন টেন্ডুলকারের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারের তথ্যও তারা সংগ্রহ করেছে। এ ব্যক্তিদের কাজকর্ম, তাদের গতিবিধিসহ যাবতীয় তথ্য প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করছে শেনহুয়ার ওই সংস্থা। তথ্যসংগ্রহের উৎস বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, গবেষণাপত্র, প্রতিবেদন বা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির মতো বহুবিধ বিষয়। শেনহুয়ার নিজস্ব ‘মনিটরিং ম্যাপ’ও রয়েছে। সংস্থার পরিভাষায় যা হল ‘পার্সন ইনফর্মেশন অ্যান্ড রিলেশনশিপ মাইনিং’। শেনহুয়ার ওয়েবসাইটে রয়েছে ‘ওভারসিজ কি ইনফরমেশন ডেটাবেস’ (ওকেআইডিবি)। প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, গত প্রায় দু’মাস ধরে সংস্থার ‘মেটা ডেটা’ ও ‘লগ ফাইল’ ঘেঁটে তথ্য বার করেছে তারা। দেখা গিয়েছে, শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো বহু দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যও সংগ্রহ করে শেনহুয়া। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার ২০টি প্রসেসিং সেন্টার রয়েছে বিভিন্ন দেশে। গত ১ সেপ্টেম্বর সংস্থার ওয়েবসাইটে দেওয়া ই-মেলে এই সংক্রান্ত প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। কিন্তু কোনো জবাব আসেনি। উল্টে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শেনহুয়ার ওয়েবসাইট দেখা যাচ্ছে না। ওই সংবাদপত্রের এক প্রতিনিধি সংস্থার শেনঝেনের প্রধান কার্যালয়েও গিয়েছিলেন। এক কর্মকর্তা তাকে বলেন, ‘এ সব প্রশ্ন ব্যবসায়িক গোপনীয়তার পরিপন্থী। তাই প্রকাশ করা যাবে না।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply