আসামিদের হুবহু জবানবন্দি : বিচারককে হাইকোর্টে তলব

নগরকান্দার স্কুলছাত্র অন্তর হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় তিন আসামির হুবহু জবানবন্দি রেকর্ড করার পরিপ্রেক্ষিতে ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। বিচারককে আগামী ৮ অক্টোবর সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হত্যা মামলার আসামিদের জামিন সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, তাঁকে সহযোগিতা করেন নুসরাত ইয়াসমিন। জামিন শুনানিতে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল আদালতকে বলেন, ২০১৮ সালের ২৮ জুন একদিনে তিন ঘণ্টার মধ্যেই ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তিনজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি হুবহু একই রকম। যা আইন অনুযায়ী হয়নি। পরে আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল ইসলামকে তলব করেন। একইসঙ্গে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। আইনজীবী নুসরাত ইয়াসমিন বলেন, ২০১৮ সালের ৭ জুন রাতে অপহরণের পর ওই রাতেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে অন্তরকে হত্যা করা হয়। ওই মামলার দুই আসামি আজিজুল শেখ ও আশরাফ শেখ ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। ‌ আইনজীবী নুসরাত জানান, ট্রাইব্যুনালের ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুই আসামি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আপিল আবেদন করেন। আজ আপিল শুনানিতে সেই দুজনসহ তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি একই রকম হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করেন আদালত। বর্তমানে অন্তর হত্যা মামলাটি ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।