বেলারুশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পশ্চিমাদের ইন্ধনের অভিযোগ প্রেসিডেন্টের
দেড়মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে বেলারুশেও। এ আন্দোলনে পশ্চিমাদের ইন্ধন রয়েছে, এমন অভিযোগ করে আসছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। দেশটির পশ্চিম সীমান্তও বন্ধ করে দেন তিনি, সেনাবাহিনীকে থাকতে বলেন সর্বোচ্চ সতর্কতায়।
তারপরও সব বাধা উপেক্ষা করেই ২ হাজরের বেশি নারী রাজধানী মিনস্কের রাস্তায় জড়ো হন। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ তাদের তাড়া করে। শুরু হয় ধরপাকড়, ৭৪ বছর বয়সী এক নারী বিক্ষোভকারীসহ ২শ’ জনকে আটক করে পুলিশ। লুকাশেঙ্কো ষষ্ঠবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে কারচুপির অভিযোগ এনে গত ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ।
এছাড়া, সরকারবিরোধী বিক্ষোভে শনিবার উত্তাল ছিল থাইল্যান্ড। রাজধানী ব্যাংককে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগ দাবি করেন। থামাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী গ্র্যান্ড প্যালেসের বিপরীত পাশে জড়ো হন।
বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া, আবার নির্বাচন এবং নতুন সংবিধানের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। সরকার পতনের দাবিতে বিক্ষোভ হলেও তা ছিল অনেকটাই শান্তিপূর্ণ।
এক বিক্ষোভকারী জানান, এখানে যারা এসেছেন তারা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছেন এবং তারা আসলেই গণতন্ত্র চান। অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, আশা করবো তারা আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই থাইল্যান্ডের রাজতন্ত্রের পুনর্গঠনেরও দাবি জানান। দেশটিতে রাজপরিবারের সমালোচনা নিষিদ্ধ হলেও রাজা মাহা ভাজিরালংকর্নের সমালোচনা করেছেন বিক্ষোভকারীরা। রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি না চাইলেও এর সংস্কারের দাবি জানান তারা।
No comments: