Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » দ্বিতীয় দফায় করোনা ঠেকাতে পূর্বপ্রস্তুতির আহ্বান পরামর্শক কমিটির




 

দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। ছবি : সংগৃহীত স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে জনসাধারণের মধ্যে শৈথিল্য থাকায় দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। আর এ সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই করণীয় বিষয়ে রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তারা। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ২০তম অনলাইন সভায় এ বিষয়ে জানানো হয়। সেখানে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ। সভায় জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্যরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিস্তারিত আলোচনা শেষে বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরামর্শক কমিটি বলছে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ থাকলেও বর্তমানে পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি, হাসপাতালের সেবার পরিধি ও মান উন্নয়ন করা হয়েছে। সরকারের ও বিভিন্ন সংস্থার পদক্ষেপের কারণেই কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। যেসব দিকে এখনো উন্নয়ন প্রয়োজন, সেসব দিকের ঘাটতিও চিহ্নিত হয়েছে। এখন ঘাটতি পূরণ করে পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে হবে। পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ উন্মুক্ত হচ্ছে এবং হতে থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও জনসাধারণের মধ্যে এক ধরনের শৈথিল্য লক্ষ করা যাচ্ছে। এ কারণে আমাদের দেশেও পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি সংক্রমণ হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয়ের লক্ষ্যে সতর্ক থাকতে হবে। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে এখনই করণীয় বিষয়ে রোডম্যাপ প্রস্তুত করে সেই অনুযায়ী পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে রোডম্যাপ প্রস্তুতিতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সহযোগিতা কামনা করা হয়। এ ছাড়া এই কমিটিও তার উপকমিটিগুলোর মাধ্যমে এই রোডম্যাপ প্রস্তুতিতে সহযোগিতা করার ব্যাপারে আশ্বাস দেয়। কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। যদিও এই হার স্বস্তিকর মাত্রায় এখনো পৌঁছায়নি। সম্প্রতি কিছু কিছু হাসপাতালের শয্যা খালি থাকছে, অন্যদিকে অন্যান্য রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো কোনো হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা একেবারেই কম। অন্যদিকে, সেসব হাসপাতালে অনেক চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা যুক্ত রয়েছেন। হাসপাতাল পরিচালনায় অনেক অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অন্যান্য রোগের রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে এবং সাশ্রয় করতে কোভিড-১৯ হাসপাতালের অব্যবহৃত শয্যাসংখ্যা সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি মনে করে, এখনো আইসোলেশন কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে। তাই সংকোচন করা হলেও পুরোপুরি বন্ধ না করে ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে যাতে পুনরায় ব্যবহার করা যায়, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা দরকার। পরামর্শক কমিটি বলছে, কোভিড-১৯ চিকিৎসায় এক্স-রে ও রক্তের কিছু পরীক্ষার ভূমিকা রয়েছে। শহরের হাসপাতালগুলোতে এই ব্যবস্থা থাকলেও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে তা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ দ্রুত নির্ণয়ের লক্ষ্যে বর্ধিত হারে টেস্ট করা প্রয়োজন। জাতীয় পরামর্শক কমিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরি কমিটির সঙ্গে যৌথভাবে কোভিড-১৯ টেস্টের নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করেছে। কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে সংক্রমিত ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইসোলেট করতে হবে। সভায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে অলোচনা করা হয় এবং সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। এ ব্যাপারে এরই মধ্যে জাতীয় পরামর্শক কমিটির দেওয়া পরামর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য সুপারিশ করা হয়। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের টেকনোলজি নিয়ে এ দেশেই উৎপাদন করার ক্ষেত্রে সরকারের পরিকল্পনার প্রশংসা করা হয়। পরামর্শক কমিটি জানিয়েছে, যদিও টিকা উৎপাদনে সারা বিশ্ব সক্রিয়, তারপরও কার্যকর টিকার প্রাপ্যতা সময়সাপেক্ষ এবং সময়সীমা এখনো অনিশ্চিত। যেহেতু লকডাউন জীবিকার স্বার্থে সম্ভব নয়, তাই এ মুহূর্তে সঠিকভাবে মাস্ক পরা, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া ও সামাজিক দূরত্ব বজায় চলাসহ সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই কোভিড-১৯ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। এ ব্যাপারে জনসাধারণকে আরো সচেতন ও সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, সমাজে যারা অনুকরণীয় তারাই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, অথবা ভুলভাবে পালন করছে। এতে করে সমাজের কাছে ভুল তথ্য যাচ্ছে। জনসাধারণ সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সঠিক তথ্য দিয়ে জনসাধারণকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে যে মাস্ক বিষয়ক ক্যাম্পেইন করার পরিকল্পনা করছে, তা দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে অল্প পরিসরে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপন করার পরামর্শ দিয়েছে পরামর্শক কমিটি। বিভিন্ন দেশ থেকে যাত্রীরা দেশে আসছে। এ বিষয়ে ভ্রমণ-সংক্রান্ত পরামর্শ ও নিয়ম জারি করা প্রয়োজন বলে মনে করছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তারা বলছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে পয়েন্ট অব এন্ট্রিতে প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন। বিদেশ থেকে আগতদের স্ক্রিনিং, কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে করোনাট্রেসার অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। সভায় হাসপাতালে দায়িত্ব পালনরত স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। পরামর্শক কমিটি বলছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তাঁদের পরিবার-পরিজনও কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে। চিকিৎসকদের মতামত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, হাসপাতালে দায়িত্ব পালনের পর স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনের জন্য নিরাপদ আবাসনের প্রয়োজন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply