পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোনো ধরনের বিরতি ছাড়া ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে, আজ সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। এর আগে নির্বাচন উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার। এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ জানান, পাবনা-৪ আসনটির ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া—এ দুই উপজেলা দুটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ১২৯টি, মোট ভোটার তিন লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯১ হাজার ৬৯৭ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৮৯ হাজার ৪১৫ জন। এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তিনজন—তাঁরা হলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস (নৌকা), বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম (লাঙ্গল)। এর আগে গত ২৩ আগস্ট পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল গত ২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ৩ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল দাখিল ছিল ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র বাতিলের আপিল নিষ্পত্তি করা হয় গত ৭ সেপ্টেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ৮ সেপ্টেম্বর। এর পর থেকেই তিন প্রার্থী প্রচার চালিয়ে যান। সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুর পর পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ২ এপ্রিল তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের ৪ ধারা অনুযায়ী, সংসদ ভেঙে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো কারণে সংসদের কোনো সদস্যপদ শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। তবে কোনো দৈব-দুর্বিপাকের কারণে ইসি আরো ৯০ দিনের মধ্যে এই নির্বাচন করতে পারবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার সেই পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপনির্বাচন।