করোনাকে পাত্তা না দিয়ে ফাঁসলেন তারা তিনজন
যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প, ব্রিটেনের বরিস জনসন, ব্রাজিলের জাইর বোলসোনারো- এই তিন রাষ্ট্রপ্রধানের স্বভাব চরিত্রে ও চালচলনে বেশ মিল রয়েছে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই তারা তিনজনই সমানে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছেন রোগটিকে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও তাদের মধ্যে চরম উদাসীনতা দেখা গেছে।
এরা তিনজনই করোনা ভাইরাসকে গুরুত্ব না দিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে। বরিস ও বোলসোনারো সেরে উঠেছেন। আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ট্রাম্প।
বরিস জনসনই প্রথম বড় কোনো বিশ্বনেতা ছিলেন যিনি করোনা আক্রান্ত হোন। মার্চের শেষ দিকে টেস্ট করতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার একদিন পরই ভাইরাসজনিত লক্ষণ দেখা যায়। পরে এপ্রিলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরিত করতে হয়। বরিস সুস্থ হয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন।
ব্রাজিলিয়ান প্রেসিডেন্ট বোলসোনারো জুলাইয়ের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হন। রোগটি নিয়ে কয়েক মাস উপহাস করার পরপরই সংক্রমিত হন তিনি। প্রায়ই মাস্ক ছাড়া রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে আসতেন এবং মাস্ক ব্যবহারে লোকজনকে অনুৎসাহিত করতেন।
তবে এই দুজনের চেয়ে ট্রাম্পের চালচলন কয়েক গুণ বেশি বেপরোয়া। কর্মকর্তাদের চাপে অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি মাস্ক পরেন। হোয়াইট হাউজের এক সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাদের নির্দেশনা না মানার কারণেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ট্রাম্পের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমটিকে বলেন, ‘তিনি কখনোই আমাদের পাত্তা দেননি।’ ডাক্তারের চেয়ে ‘বেশি বোঝেন’ ভোজনরসিক ট্রাম্প। ডাক্তার বলেছেন ডায়েট করতে। ট্রাম্প খান পেটপুরে। বলা হয়েছে নিয়মিত শরীর চর্চা করতে। ট্রাম্পের কাছে ওসব ‘শক্তির অপচয়’!
৭৪ বছর বয়সী মার্কিন প্রেসিডেন্টের কোলেস্টেরল বেশি। হার্টের সমস্যাও আছে। বার্ষিক চেকআপের সময় দু বছর আগে তাকে একটি ডায়েট চার্ট দেয়া হয়।
ওভাল অফিসের প্রায় এক ডজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চার্টের ধারেকাছ দিয়েও হাঁটেননি ট্রাম্প। সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প এখনো ফাস্টফুড খান। সেই সঙ্গে রাতে লাল মাংস ছাড়া তার চলেই না।
No comments: