Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের বসতে হবে পরীক্ষায়




উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এ বছর না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের বসতে হবে পরীক্ষায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যাপারে শনিবার একমত হয়েছে উপাচার্যদের সংগঠন 'বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ।' করোনার কারণে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় অনলাইনে নেওয়া হতে পারে এবারের ভর্তি পরীক্ষা। তবে কোন পদ্ধতিতে, কিভাবে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্যরা। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সরকারি ও সায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শনিবার বেলা তিনটায় উপাচার্যদের সংগঠন 'বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদে'র সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের সভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে শনিবার সন্ধ্যায় ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হতে পারে। ইউজিসি ও সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে। 'কী পদ্ধতি এবারের ভর্তি পরীক্ষা হবে ও কবে নাগাদ হতে পারে'-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় বসে উপাচার্যরা ঠিক করবেন কিভাবে কোন পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যায়। কোন সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেটিও তখনই চূড়ান্ত করা হবে। সভা সূত্রে জানা যায়, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বশরীরে পরীক্ষা না নিয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অধিকাংশ উপাচার্য। এক্ষেত্রে অনলাইনে কিভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে কাজ শুরু করেছেন তারা। তবে বেশিরভাগ উপাচার্যই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে মত দিয়েছেন। জানা গেছে, সভায় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূরের নেতৃত্বে উদ্ভাবিত সফটওয়্যার 'প্রোটেক্টেড রিমোট এক্সামিনেশন' ব্যবহারের প্রস্তাব এসেছে। এই সফটওয়্যারের কার্যকারিতা উপাচার্যদের কাছে শনিবারের সভায় উপস্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে নেওয়ার ব্যাপারেও সভায় আলোচনা হয়। চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় এটির সফল ব্যবহার সম্ভব হলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এটি ব্যবহার করা হবে বলে উপাচার্যরা একমত হন। সভায় অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান সমকালকে বলেন, বৈঠকে সকল উপাচার্য ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে অধিকাংশ উপাচার্য তাদের মতামত দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারটি এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে পারে। তবে এটি নির্ভর করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাকি থাকা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ওপর এর সফলতার উপর। সেই পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন হলে তখন এই সফটওয়্যার ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা জোরদার হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুণ-অর-রশীদ বলেন, আমরা নীতিগতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছি। তবে যদি বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকে তাহলে অনলাইনে এই পরীক্ষা হতে পারে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উদ্ভাবিত সফটওয়্যারটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর কার্যকারিতা নিয়ে ইউজিসির সঙ্গেও আমরা বসবো। যদি অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা হয় তাহলে এমসিকিউ পদ্ধতিতেই হবে। বেশিরভাগ উপাচার্যই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে একমত হয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের একাধিক পরীক্ষা দিতে হবে না। একটি গুচ্ছের জন্য একটি পরীক্ষা দিলেই চলবে। জানা গেছে, বৈঠকে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেয়ার ব্যাপারেও ভিসিরা একমত পোষণ করেছেন। করোনা পরিস্থিতির শিগগির উত্তরণে কোনো আশার আলো না দেখায় তারা এই চিন্তা করছেন। সে ক্ষেত্রে উল্লিখিত সফটওয়্যারই ব্যবহার করে পরীক্ষাটি নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। এখন ভিসিরা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক কাউন্সিল ও একাডেমিক কমিটিতে আলোচনা শেষে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন। ইতিমধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলো চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পরের সেমিস্টারে তুলে শিক্ষাজীবন এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। তবে বিদ্যমান গতির ইন্টারনেটে এটা কতটা সম্ভব হবে বা কত শতাংশ শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা যাবে সেই চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন ভিসিরা। শনিবারের এ সভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এ বিষয়ে এখন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর আগে গত বৃহষ্পতিবার অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এসব উপাচার্যরা ইউজিসির আমন্ত্রণে বসেছিলেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ। তবে সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে চলতি মাসে দেওয়া এক ঘোষণায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করেছে সরকার। জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের গড়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে এইচএসসির ফল। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে জেএসসি, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হওয়ায় এইচএসসির ফলের পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে যুক্ত হবে কি না, সেটি নিয়ে জোরালো প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়া এবার করোনার কারণে বিশ্ববিদারয়গুলোতে সশরীরে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যাবে কি না, সেই প্রশ্নটিও সামনে এসেছে। তবে শনিবার উপাচার্যরা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষেই মত দেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ জানিয়েছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোতে আগের মতোই পরীক্ষা ছাড়া কেবল এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। বর্তমানে দেশে ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে একটি, সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে আরেকটি গুচ্ছ করে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে এবছর করোনা সংক্রমণে কারণে গুচ্ছভিত্তিক ও সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে কিনা, তা ডিসেম্বরে উপাচার্যদের বৈঠকের পর পরিষ্কার হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply