Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সালমান শাহের মা লন্ডনে, নারাজির শুনানি ১০ ডিসেম্বর




চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ফাইল ছবি চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির শুনানির জন্য আগামী ১০ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এই দিন নির্ধারণ করেন। এ বিষয়ে সালমান শাহ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বাদী প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।’ আইনজীবী বলেন, সময়ের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী সালমান শাহের মা লন্ডনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। নারাজি দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন মঞ্জুর করা হোক।' গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতের ডেসপাস (আদানপ্রদান) শাখায় এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইর প্রধান ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার বলেছিলেন, ‘সালমান শাহ রহস্যজনক মৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি তদন্তে। আমরা সালমানের স্ত্রী সামিরাসহ সন্দেহভাজনদের বক্তব্য নিয়েছি। সব মিলিয়ে এটিই প্রতীয়মান হয়েছে যে পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পারায় আত্মহত্যা করেন সালমান শাহ।’ মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ নিহত হন। সে সময় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে—এমন অভিযোগ এনে সিএমএম আদালতে একটি অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে একই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি। একই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত সিআইডির দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন। সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে সালমানের বাবা সন্তুষ্ট না হয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি রিভিশন মামলা করেন। ওই রিভিশন মামলার ওপর শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর ১২ বছর ধরে এ মামলা বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সিএমএম হাকিম বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তী সময়ে সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি নারাজি দাখিল করেন। এর শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি র‍্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। পরে ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েশ রিভিশন মঞ্জুর করেন। এরপর ২০১৬ সালের শেষ দিকে পিবিআইকে নতুন করে তদন্তভার দেওয়া হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply