Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় নেই ভিসিদের গুচ্ছমত




পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ‘হযবরল’ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনলাইনে এবং গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির ব্যাপারে ভিসিদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি লিখিত পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও পিছু হটার শঙ্কা আছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগও ভেস্তে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের চিন্তা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবে পরীক্ষা দিতে অংশগ্রহণকারী শতভাগ শিক্ষার্থী বা তার পরিবারে ইন্টারনেট সংযোগসহ স্মার্টফোন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন। অনেক শিক্ষার্থীর তা নেই। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে বড় শহরে পর্যন্ত ইন্টারনেট ফ্রিকোয়েন্সির ঘাটতি আছে। তাছাড়া অনলাইনে নজরদারির বাইরে পরীক্ষা নেয়া হলে নকল ঠেকানোর ব্যবস্থাও আরেকটি চ্যালেঞ্জ। এমন বাস্তবতায় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হলে দরিদ্র এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে। তবে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনায় নেয়া বাঞ্ছনীয়। এই করোনা পরিস্থিতিতে যদি আগের মতো পরীক্ষা হয় আর এজন্য সবাই যদি একসঙ্গে অংশ নেয় তবে পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে। কেবল একটি স্বার্থের দিকে তাকালে হবে না। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের দিকটি দেখতে হবে। সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ঝুঁকি ও সময় অপচয় কম হবে। ভর্তি পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ থেকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছে। সেটি শিগগিরই আয়োজন করা হবে। বৈঠকটি হয়ে গেলে এ সংক্রান্ত সবকিছু দৃশ্যমান হবে। তবে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে অভিভাবক-শিক্ষার্থীর সময় এবং ভোগান্তি কমবে। করোনা পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতি প্রবর্তন সময়ের দাবি। আর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব কিনা সেটাও বিবেচনাসাপেক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা সরাসরি হওয়াই প্রত্যাশিত। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের সংক্রমণ পরিস্থিতি বেশি খারাপ। সেখানেও সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের পক্ষে নীতিনির্ধারকরা। এ চিন্তা থেকে ইতোমধ্যে কিছু কৌশল চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমেই মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ। এরপর হবে বুয়েটসহ সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। তৃতীয় পর্যায়ে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা। এরপর যথাক্রমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। গুচ্ছ পদ্ধতিতে না এলেও সূচি ঠিক করে ধারাহিকভাবেও ক্রমান্বয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হলে অংশগ্রহণকারী কমবে। এতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সহজ হবে। নাম প্রকাশ না করে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, উল্লিখিত চিন্তা বাস্তবায়নে এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নে পরীক্ষা হতে হবে। তিন দিনের মধ্যে ফল দিয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে গুচ্ছের পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শতভাগ সহায়তা না থাকলে এটা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ওই কর্মকর্তা। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে জানান, যদি গুচ্ছ পদ্ধতিতে সব বিশ্ববিদ্যালয় আসে তাহলে সাধারণ, ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আলাদা পরীক্ষা নিলেই সমাধান হয়ে যায়। এ বছর এইচএসসিতে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার পরীক্ষার্থী আছে। ডিসেম্বরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা আছে। আর দেশে ৪৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। কত ভাগ শিক্ষার্থীর স্মার্টফোনসহ ডিভাইস আছে সেই পরিসংখ্যান নেই। তবে ইউজিসির সাম্প্রতিক এক হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর ২৫ শতাংশের কোনো স্মার্টফোন নেই। শঙ্কায় অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা : এদিকে অনলাইনে পরীক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। রেহেনা আক্তার নামে পটুয়াখালীর এক অভিভাবক বলেন, উন্নত দেশে অনলাইনে পরীক্ষা হয়। কিন্তু সেসব দেশে বিদ্যুতের সমস্যা নেই। প্রায় সবার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আছে। সেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খুবই সহজলভ্য। মোবাইল ডাটার গতির সমস্যা নেই। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। তাছাড়া এখনও প্রযুক্তি ব্যবহারের জ্ঞান জনগোষ্ঠীর মধ্যে পর্যাপ্ত নয়। বিশেষত এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এ ধরনের জ্ঞান আরও সীমিত। আরিফুর রহমান সোহাগ নামে আরেক অভিভাবক বলেন, এই পরীক্ষায় অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ নকল করার সুযোগ। যেখানে পরীক্ষকের সামনে প্রযুক্তি নানাভাবে ব্যবহার করে পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ আছে সেখানে বাসায় বসে শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা মোবাইল ক্যামেরার সীমানার বাইরে কাছে থেকে মোবাইল স্ক্রিন দেখে প্রশ্নের উত্তর বলে দেয়া সম্ভব। আবদুল্লাহ আল সাকিব নামে এক ভর্তিচ্ছু জানিয়েছে, তারা সরাসরি পরীক্ষা দিতে অভ্যস্ত। এছাড়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরীক্ষা দিতে গিয়ে কোনো জটিলতায় পড়লে তার একটি বছরই নষ্ট হয়ে যাবে। বিষয়টি নিয়ে তারা খুবই শঙ্কিত। তাদের প্রত্যাশা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply