Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ইরফান সেলিমের টর্চার সেলে মিলল হাড়-চাকু-দড়ি




ইরফান সেলিমের টর্চার সেলে মিলল হাড়-চাকু-দড়ি

রাজধানীর চকবাজারে মদিনা আশিক টাওয়ারের ছাদের একটি কক্ষে কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের নিয়ন্ত্রণে থাকা টর্চার সেলের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব। 

রাজধানীর চকবাজারে সাংসদ হাজি মো. সেলিমের মালিকানাধীন মদিনা আশিক টাওয়ারের ছাদের একটি কক্ষে টর্চার সেলের (নির্যাতন কক্ষ) সন্ধান পেয়েছে র‍্যাব। র‌্যাব দাবি করেছে, ১৬ তলা ভবনের ছাদের এই কক্ষটি হাজি সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতেন।

এই টর্চার সেল থেকে একটি হাড়, চাকু, দড়ি, হকিস্টিক, হ্যান্ডকাফসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছে র‍্যাব।

আজ সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইরফান সেলিমের টর্চার সেলে অভিযানে থাকা র‍্যাবের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘টর্চার সেলে অভিযান পরিচালনার সময় সেখানে একটি হাড় পাওয়া গেছে। হাড়টি হাতের অথবা পায়ের হবে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য পরে ইরফান সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসায় আজ সোমবার অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় বাসা থেকে লাইসেন্স বিহীন বিদেশি অস্ত্র, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফ কেইস, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি, গুলি, হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন ও কন্ট্রোল রুম থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ভেরি হাই সিকিউরিটি সেট উদ্ধার করা হয়। 

জানতে চাইলে র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা মদিনা আশিক টাওয়ারের টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে হ্যান্ডকাফ, দড়ি, চাকুসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করেছি।’

র‍্যাব জানিয়েছে, মদিনা আশিক টাওয়ারের ভবনটি ১৬ তলা। চকবাজার এলাকার সবচেয়ে বড় ভবন এটি। ভবনের ১৬ তলায় হাজি সেলিম মালিকানাধীন মদিনা ডেভেলপারের অফিস। এর ওপরেই ছাদের একটি কক্ষে টর্চার সেলের খোঁজ পাওয়া গেছে। ওই কক্ষে ইরফান মাঝেমধ্যেই যাতায়াত করতেন।

এর আগে আজ দুপুর থেকে চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে হাজি সেলিমের ‘চাঁন সরদার দাদা বাড়ি’ ঘিরে রাখেন র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। পরে র‍্যাবের দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ র‍্যাব সদস্যরা বাড়িতে প্রবেশ করেন। অভিযানকালে ওই বাড়িটিকে ঘিরে শত শত মানুষ জড়ো হয় চকবাজার এলাকায়। আটতলা বিশিষ্ট বাড়িতে হাজি সেলিম নিজে এবং তাঁর ছেলেরা থাকেন। হাজি সেলিমের তিন ছেলে। তাঁর মেজ ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম থাকেন পঞ্চম তলায়। চতুর্থ তলায় থাকেন ইরফান সেলিমের স্ত্রী, বাড়ির দ্বিতীয় তলায় হাজি সেলিম এবং ষষ্ঠ তলায় থাকেন বড় ছেলে সুলাইমান সেলিম। ছোট ছেলে আশিক সেলিম অস্ট্রেলিয়ায় পড়ালেখা করেন। বাকি তলাগুলো ভাড়া দেওয়া রয়েছে।

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসায় আজ সোমবার অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় বাসা থেকে লাইসেন্স বিহীন বিদেশি অস্ত্র, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফ কেইস, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি, গুলি, হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন ও কন্ট্রোল রুম থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ভেরি হাই সিকিউরিটি সেট উদ্ধার করা হয়। 

ওই বাসায় ইরফান সেলিমের ফ্ল্যাট থেকে লাইসেন্স বিহীন বিদেশি অস্ত্র, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফ কেইস, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করে র‍্যাব। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। বাসা থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি, যেগুলো আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে।

এ ব্যাপারে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তাঁদের কাছ থেকে গুলি, হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন এবং কন্ট্রোল রুম থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ভেরি হাই সিকিউরিটি সেট (ভিএইচএস) উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। এটা ওয়াকিটকির একটি আধুনিক সংস্করণ। এ ছাড়া ওই বাসায় টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে।’

আশিক বিল্লাহ জানান, অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস এবং মাদক রাখা ও সেবনের দায়ে ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদকে ছয় মাস করে মোট এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

রাজধানীর চকবাজারের দেবীদাস ঘাট লেনে ঢাকা-৭ আসনের সাংসদ হাজি মো. সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমের বাসায় আজ সোমবার অভিযান চালিয়েছে র্যাব। এ সময় বাসা থেকে লাইসেন্স বিহীন বিদেশি অস্ত্র, একটি একনলা বন্দুক, একটি ব্রিফ কেইস, মদ ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি, গুলি, হ্যান্ডকাফ, একটি ড্রোন ও কন্ট্রোল রুম থেকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি ভেরি হাই সিকিউরিটি সেট উদ্ধার করা হয়। 

হাজি সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম গতকাল রাতে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি। ইরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদ মামলার ৩ নম্বর আসামি। ওই মামলার আসামি হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে ইরফান সেলিমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম আলী মিয়া এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল রাতের ঘটনায় আজ সোমবার সকালে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৬। এ মামলার বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিফ আহমদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাঁকে মারধর করে তাঁর দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করেন ওয়াসিফ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply