অবশেষে সুর নরম করল আর্মেনিয়া

আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে বসতে প্রস্তুত আর্মেনিয়া। যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে দেশটি। আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (০২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় যুদ্ধবিরতিতে বসতে প্রস্তুত। যদিও এর আগে, রাশিয়ার যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে প্রত্যাখান করে আর্মেনিয়া। তবে, বিবৃতিতে আরো বলা হয় নাগারনো-কারাবাখ অঞ্চলে যে কোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাবে আর্মেনিয়া কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। এর মধ্যেই দু’দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় নতুন করে আর্মেনিয়ার ৫৪ সেনা নিহত হয়েছেন। টানায় ৬ষ্ঠ দিনের যুদ্ধে এ পর্যন্ত আর্মেনিয়ার দেড় শতাধিক সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। আজারবাইজানের কোনো সেনা হতাহত হয়েছে কিনা দেশটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়নি। তবে আর্মেনিয়ার মর্টার হামলায় কমপক্ষে ১৯ বেসামরিক নাগরিক নিহতের কথা জানায় আজারবাইজান। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আজারবাইজানের ভূখণ্ড আপার কারাবাখ ১৯৯১ সালে দখল করে নেয় আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনী। এরপর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দু’জাতির মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ৪টি এবং জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ২টি প্রস্তাবনাসহ আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা দখলকৃত ভূমি থেকে আর্মেনিয়ার প্রত্যাবর্তন দাবি করলেও তা আমলে নেয়নি আর্মেনিয়া সরকার। ১৯৯২ সালে ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে সংকট সমাধানের উপায় খুঁজার জন্য মিনস্ক গ্রুপ তৈরি হয়। ১৯৯৪ সালে একটি শান্তি চুক্তিও সই হয়। কিন্তু সংকট নিরসনে তা ভূমিকা রাখতে পারেনি।