Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর




করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি এড়াতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নিতে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হয়েছে। রোববার (০১ নভেম্বর) এক বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে উদ্ধৃত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি নিরসন, আর্থিক সাশ্রয় এবং পরীক্ষা দিতে গিয়ে আবাসনের সমস্যা নিরসনে দীর্ঘদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এবার বিশাল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর একই সময়ে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গণপরিবহনে ব্যাপক যাতায়াতের ফলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার শঙ্কা রোধে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তাদের ঐকমত্যও জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতিও এ বিষয়ে তার অভিপ্রায় স্পষ্ট করে ব্যক্ত করেছেন। এই পরিস্থিতিতে রোববার চারটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভা করে তাদের এক্ষেত্রে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদারকে নিয়ে এ সভা হয়। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ সভায় যোগ দেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে তা হবে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় উপহার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় ‘৭৩ এর আদেশ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আচার্যের অভিপ্রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমস্যা নিরসনে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি অবলম্বনের জন্য স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে আলোচনা করে পুনরায় ইউজিসির সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এবার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল মূল্যায়ন করা হবে। এই পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী থাকায় সবাই পাস করবেন। বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার আসনে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান উচ্চ মাধ্যমিক পার হওয়া শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদা আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয় বলে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিতে হয়। একই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিতে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়। আবার এক দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার তারিখ পড়লে শিক্ষার্থীকে যে কোনো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নিতে হয়। শিক্ষার্থীদের এ দুর্ভোগ ও অভিভাবকদের ব্যয় লাঘবের জন্য গত কয়েক বছর ধরেই সমন্বিত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আপত্তিতে তা সম্ভব না হওয়ায় গতবছর ইউজিসি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply