ইউ-তে ভ্যাকসিন কর্মসূচি, ‘মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ বলছেন নেতারা

গণহারে কোভিড-এর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। ২৭ ডিসেম্বর রোববার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিকে করোনার বিরুদ্ধে অঞ্চলটির সমন্বিত লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছে। একযোগে টিকা প্রদান শুরুর বিষয়টিকে ইউরোপীয় ঐক্যের জন্য ‘মর্মস্পর্শী মুহূর্ত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অঞ্চলটির নেতারা। দিনটিকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ'র ২৭টি সদস্য দেশে ফাইজার-বায়োএনটেক এর টিকা পৌঁছে গেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪৪৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪৬ কোটি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হচ্ছে। ইউরোপে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ কোভিডে প্রাণ হারিয়েছেন। ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি -ইএমএ এবং ইউরোপিয়ান কমিশন ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা অনুমোদনের পর নিজ নিজ নাগরিকদের আওতায় নিয়ে আসতে উদ্যোগী হন অঞ্চলটির রাষ্ট্রপ্রধানরা। টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, বড়দিন উৎসবের মধ্যেই ভালো বার্তা পেল সবাই। আশা করছি মহামারি কাটিয়ে উঠতে এই ভ্যাকসিন সাহায্য করবে, আমাদের জীবনও বাঁচবে। আরো পড়ুন: বসনিয়ার জঙ্গলে মৃত্যুর মুখে বহু বাংলাদেশি, রয়েছেন বিদেশিরাও ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইজি দি মাইও জানিয়েছেন, 'টিকা নেয়ার মাধ্যমে আমরা আবারো স্বাধীনভাবে চলতে ফিরতে পারবো। একে অপরকে আবারো জড়িয়ে ধরবো।' ইউরোপীয় ইউনিয়ন যখন গণহারে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু করছে, তখন যুক্তরাজ্য থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। যা ৭০ গুণ দ্রুত ছড়াতে পারে। ইতোমধ্যে সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, জাপান ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পদক্ষেপ হিসেবে, ব্রিটেনের সঙ্গে সাময়িক সময়ের জন্য সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে অনেক দেশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউরোপের আঞ্চলিক জোটটির প্রায় সবকটি দেশেই বর্তমানে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। DMCA.com Protection Status