Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » ভারতকে কৃষিখাতে বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর




ভারতকে কৃষিখাতে বিনিয়োগের আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর রাজধানীর মতিঝিলে আজ মঙ্গলবার এফবিসিসিআই ও কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত কনফারেন্সে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষিখাতে ভারত-বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের ডিজিটাল কনফারেন্স আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই) যৌথভাবে এ কনফারেন্সের আয়োজন করে। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও এগ্রো-প্রসেসিংয়ে বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারিভাবে ভারতকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। সরকার এ বছর ২০০ কোটি টাকার মাধ্যমে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কম্বাইন্ড হারভেস্টার, রিপারসহ কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে। এ ছাড়াও, তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে প্রায় ৫১ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার বছরে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলারের যা বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ বিশাল বাজারে ভারত যদি সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিনিয়োগে করে তবে দুই দেশই উপকৃত হবে। বাংলাদেশে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কারখানা স্থাপন ও অ্যাসেম্বল হলে দেশে একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অন্যদিকে কৃষকেরা কম দামে যন্ত্রপাতি কিনতে পারবে। ড. রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণে ভারতের সহযোগিতা দেখতে চাই। ভারতীয় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারে। ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেন, ভারত- বাংলাদেশ দুই দেশেই ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ কৃষিতে সম্পৃক্ত। ভারত বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, ফুড প্রসেসিং ও ফিস-অ্যাকুয়াকালচার এই তিনটি খাতে অধিক গুরুত্বসহ কৃষির সব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা করতে আগ্রহী। ফুড প্রসেসিংয়ে একসঙ্গে কাজ করলে বৈশ্বিক ফুড বাজার এই দুই দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলেও তিনি আশা করেন। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে পীযূষ গয়াল বলেন, ‘এ অংশীদারিত্ব অন্যদের জন্য রোল মডেল। আমি মনে করি, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে কৃষির গেম চেঞ্জিং সম্ভাবনা রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিখাতে জিটুজি এবং বিটুবি সহযোগিতা ও বিনিয়োগের খাত চিহ্নিতকরণে এই কনফারেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপিত এন্টি ডাম্পিং শুল্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি বলেন, ‘এসব পদক্ষেপের কারণে আমাদের রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’ তিনি তা পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাত প্রতিবছর ভারত থেকে কয়েক শত কোটি ডলার পণ্য আনে, যা আরো বৃদ্ধির ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য আনতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এটা যৌথ উদ্যোগ, শিল্প বৈচিত্র্যকরণ এবং বাজার বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে যে কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। এ ছাড়া ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, টাটা স্টিলের সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক টি ভি নরেন্দ্রন, মাহিন্দ্রর সিইও ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পবন গোয়েঙ্কা, সিআইআইয়ের মহাপরিচালক চন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সুজিব রঞ্জন দাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় কৃষি সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এবং দুই দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দুই দেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবন-জীবিকাতে কৃষিখাত মুখ্য ভূমিকা পালন করে। দুই দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের জীবিকা কৃষিকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, বীজ, এগ্রো-প্রসেসিং, ভ্যালু চেইন, গবেষণা, হাইব্রিড জাতের ফসল ও টিস্যু কালচার, জার্মপ্লাজমসহ বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই কনফারেন্সে দুই দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়/কৃষি যন্ত্রপাতি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply