খামেনির পর কে হচ্ছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা?
মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাশালী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ ইরান। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটির রাজনৈতিক ক্ষমতার শীর্ষে রয়েছেন ৮১ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বর্তমানে তিনি অসুস্থ বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত করেছে। যদিও ইরানের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, খামেনির স্বাস্থ্য নিয়ে যেসব সংবাদ হচ্ছে তা গুঞ্জন ছাড়া কিছুই নয়। তবে গুঞ্জন সত্য বা মিথ্যার চেয়েও বেশি আলোচনায় আছে তিনি মারা গেলে কে হচ্ছেন তার উত্তরসূরি? যেভাবে নেতা নির্বাচন করা হয়- খোমেনির যদি মৃত্যু হয় বা তিনি কার্যক্রম পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েন, তাহলে তিন সদস্যের একটি পরিষদ তার কাজ করবে, যেখানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট, বিচার বিভাগের প্রধান ও গার্ডিয়ান কাউন্সিলের একজন ধর্মতাত্ত্বিক। ৮৮ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের ইসলামি ধর্মীয় নেতার পরিষদ যত দিন তাদের উত্তরসূরি নির্বাচন না করছেন, তত দিন এই পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যাবে। এই বিশেষজ্ঞ পরিষদ আট বছরের জন্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়। তবে তার আগে গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদন পেতে হয় তাদের। আর এই গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সদস্যদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচন করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা। এই দুটি পরিষদ বা মণ্ডলীর ওপর সর্বোচ্চ নেতার প্রভাব থাকে। গত তিন দশক ধরে খামেনি নিশ্চিত করেছেন যে বিশেষজ্ঞমণ্ডলীর নির্বাচিত সদস্যরা যেন রক্ষণশীল হযন, যারা তার উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় তারই নির্দেশ মেনে চলবেন। নির্বাচিত হওয়ার পর, সর্বোচ্চ নেতা তার পদে আজীবন বহাল থাকতে পারেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, সর্বোচ্চ নেতা হতে হবে একজন আয়াতুল্লাহকে, অর্থাৎ যিনি একজন শীর্ষস্থানীয় শিয়া ধর্মীয় নেতা। কিন্তু আলি খামেনিকে যখন নির্বাচন করা হয়েছিল, তিনি আয়াতুল্লা ছিলেন না। তখন তিনি যাতে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল। ফলে প্রয়োজনে আইন আবার পরিবর্তন করা সম্ভব। যখন নতুন নেতা নির্বাচনের সময় আসবে, তখন রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে আইন পরিবর্তনের রাস্তা খোলা রয়েছে। খামেনির পর কাকে বেছে নেবে ইরান? ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির রাজনৈতিক উপদলগুলো পরবর্তী উত্তরসূরি কেমন হবেন তা নিয়ে গভীরভাবে আগ্রহী, কিন্তু ইরানে এমন কোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তি নেই যিনি একটা সংকট প্রতিরোধ করার জন্য নেতৃত্ব দিতে পারেন। আলি খামেনির অনুগত মহলে তার একটা বড় প্রভাব রয়েছে। এদের বেশির ভাগই ইরানের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্য। রেভল্যুশনারি গার্ড যদি কোনো প্রার্থীকে পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দেখতে না চায়, বা তারা যদি কোনো প্রার্থীকে অপছন্দ করে, তাহলে তাকে ঠেকানোর চেষ্টা যে তারা করবে সে সম্ভাবনা রয়েছে। এমন গুজব আছে যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যা চূড়ান্তভাবে গোপনীয়। ওই তালিকায় কাদের নাম আছে তা জানার দাবিও কেউ করেন না। তবে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে বা বিভিন্ন ঘটনার নিরিখে বলা হচ্ছে যে আলি খামেনির পছন্দের উত্তরসূরি হতে পারেন তার ছেলে মোজতাবা অথবা বিচার বিভাগের প্রধান ইব্রাহিম রাইসি। সেটা যদি সঠিক হয়, তাহলে তার কিছুটা ওজন অবশ্যই রয়েছে। এদিকে রাইসির পূর্বসূরি, সাদেক লারিজানি ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি দুজনেই পরবর্তী সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী বলে ধারণা করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ক্যানসার হওয়ার কারণে একটি অপারেশন হয়েছিল ইরানের সর্বোচ্চ নেতার। তারপর থেকেই তার বিষয়ে খুব একটা খোঁজখবর পাওয়া যায় না। বেশির ভাগ সময়ই লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন তিনি। ফলে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ পরমাণুবিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহর গুপ্তহত্যার পর দেশজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেই কারণেই মোজতাবা খামেনিকে খুব দ্রুত ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা করছে।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: