Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মন্দির রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানে ১২ পুলিশ বহিষ্কার




মন্দির রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানে ১২ পুলিশ বহিষ্কার

পাকিস্তানে হিন্দুদের একটি মন্দির রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১১ পুলিশ সদস্যকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গেল মাসে ধর্মীয় একটি দলের উগ্র সমর্থকরা মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে। বৃহস্পতিবার ওই ১২ পুলিশ সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে কাপুরুষতা, দায়িত্বহীনতা এবং অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়, উগ্র সমর্থকরা যখন মন্দিরে হামলা চালায়, তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি তারা। কয়েকজন ভয়ে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ আনা হয়। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খায়বার পাখতুনখোয়ার আঞ্চলিক প্রশাসন ৩৩ পুলিশ কর্মকর্তাকে শাস্তিস্বরূপ এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করেছে। প্রাদেশিক পুলিশ সুপার সানাউল্লাহ আব্বাসি এ তথ্য জানান। খায়বার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরের তারি ইন কারাক জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে হামলার শিকার শ্রী পরমচান জি মহারাজ সমাধি মন্দির অবস্থিত। দেশটির সরকার মন্দির পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। তারপরই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল কর্তৃপক্ষ। গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট মন্দির পুনর্নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গেল বছরের ৩০ ডিসেম্বর ১৯২০ সালে নির্মিত ঐতিহাসিক মন্দির এবং এর পার্শ্ববর্তী শশ্মানে হামলা চালায় অন্তত ২ হাজার উগ্রবাদী। ভাঙচুরের পর আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয় স্থাপনগুলোতে। সম্প্রতি শশ্মান এবং মন্দির সম্প্রসারণের জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পাশের একটি জমি কেনে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় এক মুসলিম নেতার নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়। মন্দির এবং শশ্মান সম্প্রসারণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতিও পেয়েছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা। পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২০ কোটি ৭০ লাখের মতো। দেশটিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৩৫ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৬ শতাংশ। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হামলার ভিডিও দেখে ওই মুসলিম নেতাসহ ৩০ দাঙ্গাকারীকে উস্কানি এবং বিশৃঙ্খলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম পার্টির সমর্থকরাও রয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিচার চলছে। যদিও হিন্দু এবং মুসলমানরা পাকিস্তানে সাধারণত শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করে। মাঝে মাঝে সংখ্যালঘু সংঘাত আলোচনার শীর্ষে চলে আসলে ধর্ম অবমাননার কঠোর আইনে তা দমন করে দেশটির সরকার। মন্দিরে হামলার বিষয়টি পাকিস্তানে খুবই বিরল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ হার বেড়েছে। ১৯৪৭ সালে হিন্দু-মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা পায়। তখন সংখ্যালঘু অনেক হিন্দু পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যায়। গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক পরিষদ (ইউএসসিআইআরএফ) পাকিস্তানকে বিশেষ উদ্বেগের দেশের তালিকায় পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করে। অন্যান্য কারণে সঙ্গে বলা হয়, দেশটিতে ধর্ম এবং বিশ্বাসের স্বাধীনতা মারাত্মক খর্ব করা হয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply