হিলি বন্দর দিয়ে শনিবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর। ছবি : সংগৃহীত
সাড়ে তিন মাস পর ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও শুরু হচ্ছে পেঁয়াজের আমদানি। কোনো জটিলতা না থাকলে আগামীকাল শনিবার থেকে দেশে পৌঁছাবে পেঁয়াজের চালান। এমনটিই জানিয়েছেন বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। এরই মধ্যে তাঁরা কয়েকটি ব্যাংকে এলসিও করেছেন।
এদিকে, ভারতের আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসার খবরে কেজিতে অন্তত ছয় থেকে আট করে কমে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানায়, ভারত সরকার গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। এর ফলে দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে দাম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা মিয়ানমার, পাকিস্তান, মিসর, তুরস্ক ও চীন থেকে বিপুল পেঁয়াজ আমদানি করে। এ অবস্থায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। তখন প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
বাংলাহিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা মঈনুল ইসলাম, শাকিল হোসেন জানান, আমরা শুনেছি ভারত থেকে আগামীকাল শনিবার দেশে পেঁয়াজ আসছে। এই খবর বাজারে পৌঁছালে প্রতি কেজিতে সাত থেকে আট টাকা করে কমে গেছে। আজ শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। গত বুধবার এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত সরকার তা গত ২৮ ডিসেম্বর তুলে নিয়েছে। ফলে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা ভারত থেকে নতুন করে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি নিতে আবেদন করেছে। আজকালের মধ্যে তাদের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
এদিকে, হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, কোনো জটিলতা না থাকলে আগামীকাল শনিবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। তবে বাংলাদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত সরকার এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো মূল্য নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ ডলারের মধ্যেই আমদানি করা যাবে। ভারতের পেঁয়াজ বাজারে এলে ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে পাইকারি বিক্রি হবে। তবে চাহিদার ওপর নির্ভর করে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।’
Tag: politics
No comments: