Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » অনেক দূর এগিয়েছি, বহুদূর যেতে হবে : প্রধানমন্ত্রী




টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত এক যুগ ধরে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীতে আরো বহুদূর যাওয়ার প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন দেশবাসীকে। এজন্য তিনি নিজেদের পরিশ্রম, সততা আর দেশপ্রেমের পাশাপাশি দেশবাসীর ঐক্য ও সমর্থন কামনা করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকারের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই প্রত্যাশা আর সমর্থন কামনা করেন। ‘আমরা আজ অনেক দূর এগিয়েছি সত্য। আমাদের আরো বহুদূর যেতে হবে’- লিখিত বক্তব্যে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হতে পারে সে গন্তব্য পথ মসৃণ, হতে পারে বন্ধুর। বাঙালি বীরের জাতি। পথ যত কঠিনই হোক, আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। আমরা যদি পরিশ্রম করি, সততা-দেশপ্রেম নিয়ে দায়িত্ব পালন করি, তাহলে আমরা সফলকাম হবই, ইনশা আল্লাহ।’ আধা ঘণ্টারও বেশি সময়ের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের বিগত এক যুগের উন্নয়নের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। যেখানে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় প্রকল্পের পাশাপাশি এই করোনার সময়ের দেশবাসীর প্রতি তাঁর সরকারের মানবিক সাহায্য, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের জন্য বিপুল প্রণোদনার হিসাবও তুলে ধরেন। সরকারপ্রধান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে আমাদের বিগত ২০২০ সাল অতিক্রম করতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং উপর্যুপরি বন্যা আমাদের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। আমরা সেসব ধকল দৃঢ়তার সঙ্গে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু করোনাভাইরাস-জনিত সংকট থেকে বিশ্ব এখনো মুক্ত হয়নি।’ কোভিড-১৯ মোকাবিলায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসনের সদস্যসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের চারবারের এই প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণের কথা উল্লেখ করে স্বাধীনতার স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ; একটি জাতিরাষ্ট্র। আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-পেশার মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে। প্রতিটি মানুষ অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার সুযোগ পাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ যখন পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের পাশাপাশি এগিয়ে যাচ্ছিল, তখনই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসের অনেক ‘চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র’, সামরিক শাসন, গণতন্ত্রহীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-বিচ্যুতি, ইতিহাস বিকৃতির নানা তথ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই সময়ে শাসকরা ৩০ লাখ শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘২০০৯ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১২ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আর্থ-সামাজিক এবং অবকাঠামো খাতে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। দ্য ইকোনমিস্ট-এর ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ৬৬টি উদীয়মান সবল অর্থনীতির দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।’ “২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল দক্ষ, সেবামুখী ও জবাবদিহিতামূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূল করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা।” শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের সমৃদ্ধশালী-মর্যাদাশীল দেশ। আমরা ২০২১ সালের আগেই উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছি। প্রত্যাশিত লক্ষে পৌঁছতে আমরা পথ-নকশা তৈরি করেছি। রূপকল্প ২০৪১-এর কৌশলগত দলিল হিসেবে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ প্রণয়ন করা হয়েছে। ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি সমীহের নাম’- এমনটা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব আজ চোখে পড়ার মতো।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে আসুন আমরা নতুন করে শপথ নেই- মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং আদর্শকে ধারণ করে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply