Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গাংনী উপজেলার হোগলবাড়ীয়া গ্রামের মাঠে ১২ বিঘা জমির গম ও মসুরী খেত বিনষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা




গাংনীতে ৮ কৃষকের ১২ বিঘা জমির ফসল বিনষ্ট

। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৮ জন কৃষক। ভুক্তভোগী কৃষকের দাবী, গ্রামের প্রতিপক্ষ মতিয়ার রহমান ও তার লোকজন পরিকল্পিতভাবে কীটনাশক প্রয়োগ করে তাদের ফসল বিনষ্ট করেছে। তবে এ দাবী অস্বীকার করে মতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বর্তমান যারা ওই জমি দখল করে চাষাবাদ করছেন তারাই নিজেদের ফসল নিজেরাই নষ্ট করে আমাদেরকে ফাঁসাতে চাইছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বর্গা চাষিদের গম ও মসূরী খেত শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে গেছে। পাওয়া গেছে বিষের গন্ধ। গেল সপ্তাহের যে কোন দিন এ বিষ প্রয়োগ করেছে দুর্বৃত্তরা। ১২ বিঘা জমির সমস্ত ফসলই বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শুধু ফসলই বিনষ্ট হয়নি, সেই সাথে হয়েছে কৃষকের স্বপ্ন ভঙ্গ। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আসমত আলী জানান, তিনি গ্রামের খাইরুল ইসলাম গংয়ের কাছ থেকে বছর দশেক আগে দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন ফসল আবাদ করছেন। এতোদিন কোন সমস্যা হয়নি। কেউ ওই জমি বর্গা নিতেও বারণ করেন নি। অথচ গ্রামের মতিয়ার গং কোন কারণ ছাড়াই আসমত আলীসহ ৮ জন বর্গা চাষির গমখেতে জঙ্গল মারা বিষ প্রয়োগ করে বিনষ্ট করেছে। একই কথা জানালেন বর্গা চাষি সাদেক কেসমত ও তৌহিদুল ইসলাম। বর্গা চাষি বাদল জানান, মতিয়ার তার এক বিঘা মসূরী খেতে বিষ প্রয়োগ করে বিনষ্ট করেছে। তিনি আশা করেছিলেন এবার ওই জমিতে ২০ মন মসুরী পাবেন। একইভাবে ইশারুল ও সেন্টুর মসুরী খেত ও বিনষ্ট করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মতিয়ার যদি তাদের নিজের জমি হিসেবে দাবী করে ফসল আবাদে নিষেধ করতেন তাহলে এ জমি বর্গা নিতেন না। তারা কোন কথা না বলেই ফসলের ক্ষতি করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আইজউদ্দিন জানান, ফসলের ক্ষতি করা জঘন্যতম অপরাধ। দফায় দফায় ফসলের যারা ক্ষতিসাধন করছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই কথা জানালেন সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ। স্থানীয়রা জানান, ১৯৬০ সালে গ্রামের মরহুম দবীর উদ্দীন আম মোক্তার বলে ১৮ একর জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। সেসময় গ্রামের হাজী এলাহী বক্স ও তার লোকজন ওই জমির কাগজপত্র প্রস্তুত করে কুষ্টিয়া আদালতে একটি মামলা করেন। শুনানী শেষে এলাহী বক্সের জমির কাগজপত্র ভূয়া প্রমানিত হওয়ায় দবীর উদ্দীনের উপর জমির স্বত্ব ন্যস্ত করেন ও খাজনা প্রদানের আদেশ হয়। পরবর্তীতে খাজনা বাকি হওয়ায় ওই জমির নিলাম ডাকা হয়। সেসময় মেহেরপুর সদরের উজলপুর গ্রামের হাজি রহিম বক্স ক্রয় করেন ওই সম্পত্তি। পরবর্তীতে ১৮ একর সম্পত্তি খাইরুল ইসলাম ক্রয় করেন। স্থানীয় বর্গা চাষিরা ওই জমি বর্গা নিয়েই একযুগ ধরে ফসল ফলিয়ে আসছেন। প্রতিপক্ষ মতিয়ার রহমান জানান, যারা অভিযোগ করছে তাদের কোন দলিলপত্র নাই। তাছাড়া আদালতে মামলা চলমান তাই তারা নিজেই ফসলের ক্ষতি করে আমার বা আমার আত্মীয়-স্বজনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। এটা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম শাহাবুদ্দিন জানান, এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করা হবে। গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ বজলুর রহমান জানান, ফসল বিনষ্টের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply