ফ্রান্সে তৃতীয় লকডাউন লাগতে পারে, নতুন ধরনের করোনা বাড়ছে ফ্রান্সের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ফ্রান্সে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শিগগিরই তৃতীয় লকডাউন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসা উপদেষ্টা। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কঠোর কারফিউ জারি ছিল। তবুও করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে। যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ফ্রান্সের কয়েকটি শহরে ৭ থেকে ৯ শতাংশ করে বাড়ছে জানিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নিয়োজিত সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের প্রধান অধ্যাপক জাঁ-ফ্রাঙ্কোয়েস ডেলফ্রেইসি বলেন, ‘এটা থামানো দুষ্কর হয়ে যাবে। এই সপ্তাহটা ভয়াবহ ছিল। মারাত্মক অবস্থা চলছে। সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে ফ্রান্সের অবস্থা ভালো বললেও করোনার নতুন ধরনের ছড়িয়ে পড়াকে ‘দ্বিতীয় মহামারির সমান’ বলে অভিহিত করেছেন অধ্যাপক ডেলফ্রেইসি। এক টিভি সাক্ষাৎকারে ডেলফ্রেইসি বলেন, ‘এখন আমরা কড়াকড়ি না আনলে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।’ আগামী বুধবার ফরাসি সরকারের বৈঠকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা তৃতীয় লকডাউনের বিপক্ষে। তাঁরা রাত্রিকালীন কারফিউয়ের পক্ষে, যাতে বাচ্চাদের স্কুলগুলো খোলা রাখার সুযোগ থাকে। কিন্তু দেশটিতে দৈনিক প্রায় ২০ হাজার করে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। ফলে বাড়তি কড়াকড়ির সিদ্ধান্তের পথেই হয়তো হাঁটতে হবে ফ্রান্সকে। এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩০ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে। এদের মধ্যে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বখ্যাত পরিসংখ্যান সাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য জানিয়েছে।Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: