Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গাংনী পৌর নির্বাচনে ত্রিমুখি লড়াই হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করছেন ভোটাররা




মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে দিন দিন উত্তেজনা বাড়ছে। অভিযোগ আর পাল্টা পাল্টি অভিযোগের মধ্যে দিয়ে চলছে নির্বাচনের প্রচার প্রচারনা। পৌরসভায় পোস্টার লাগাতেও বাধা হুমকি ও দেওয়া সহ মাইক ভাংচুরের অভিযোগ উঠলেও মানতে নারাজ আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী। সকল প্রার্থীই দাবি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। মেয়র পদে ৫জন সহ ৫২জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত আহম্মেদ আলী (নৌকা), বিএনপির আসাদুজ্জামান বাবলু (ধানের শিষ), ইসলামী আন্দোলনের আবু হুরাইরা (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম (জগ), ও স্বতন্ত্র আনারুল ইসলাম (বর্শি) প্রতীক। এবারের

। আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী আহাম্মদ আলী বর্তমান সরকারের নানা বিধ উন্নয়ন মূলক কাজের বিবরণ দিয়ে ভোটারদের নিকট ভোট চাইছেন। তিনি মেয়র হলে বর্তমান সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কাজ ভাল ভাবে করতে পারবেন বলে ভোটারদের প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন। এ দিকে বর্তমান মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম তার সময়ের নানান উন্নয়ন মূলক কাজের বিবরণ দিয়ে মানুষের নিকট ভোট চাচ্ছেন। তিনি বিজয়ী হলে গাংনী শহরকে আরো সুন্দর ও সার্থক করে গড়ে তুলতে পারবেন বলে ভোটারদের প্রতিশ্রতি দিচ্ছেন। এ দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু গাংনী পৌরসভাকে সুন্দর করে সাজতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি দাবি করছেন ভোটাররা ভোট দেবার সুযোগ সুযোগ পেলে তাকেই বিজয়ী করবেন। তিনি সব সময় সাধারণ ভোটারদের পাশে থেকে তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করছেন, তাই পৌরবাসি তাকে ভালবেসে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে দাবি বাবলুর। এ দিকে ইসলামী আন্দোলনের আবু হুরাইরা (হাতপাখা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারুল ইসলাম (বর্শি) প্রতীক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করলেও ত্রিমুখি লড়াইয়ের তিন প্রার্থীর ভোটে কোন ভাগ বসাতে পারবে না বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ১৭.১২ বর্গ কিলোমিটারের গাংনী পৌরসভা। আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। চায়ের কাপে চুমুক, রাস্তা ঘাট সবখানেই চলছে ভোটের হিসেবে নিকেশ। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত্রী পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে। শোনাচ্ছেন উন্নয়নের ফুলঝুরি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকার দলিয় প্রার্থী সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোটের দিন সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার ২০ হাজার ৩৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৭৬০ ও নারী ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৫৯৭ জন। মেয়র প্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন,ইচ্ছামত ট্যাক্স বৃদ্ধি,বিভিন্ন সেবা নিতে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়া সহ বর্তমান মেয়রের নানা দূর্নীতি কারনে জনগন তাকেই বিজয়ী করবে। এছাড়া সকল পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা এক কাতারে অবস্থান করছে। সকলেই নৌকা প্রতীককে নির্বাচিত করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। তিনি নির্বাচিত হলে পৌরসভাকে প্রথম শ্রেনীতে উন্নিত,বিনামূল্যে ওয়াইফাই সহ সকল নাগরিকের অধিকার নিশ্চত করনের পাশপাশি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা হবে। এছাড়া সতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ করেনে তিনি। বিএনপির প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন,ভোটারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ন পরিবেশে প্রচার প্রচারনা করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত কি হবে বলা মুসকিল। অতিতের নির্বাচনের কারনে গাংনী পৌরসভা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে কি না তা নিয়ে মানুষের মাঝে অবিশ্বাসের পাশাপাশি শংঙ্কাও তৈরি হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্ভিগ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এজন্য নির্বাচন কমিশন,জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেত কামনা করেন। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবু হুরাইরা বলেন,সুষ্ট নির্বাচন হলেই দলের পাশাপাশি তিনি ও তার ভোটাররা খুশি হবেন। যিনিই বিজয়ী হবেন তিনি যেন উন্নয়নের ধারাবাহিকা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শান্তিপূর্ন স্বঅবস্থান নিশ্চিত করে। সতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান আশরাফুল ইসলাম বলেন,নির্বাচনে প্রচার প্রচারনা শুরু হওয়ার পর থেকে পোষ্টার ছেড়া,মাইক ভাংচুর ভোটারদের হুমকি দেয়া অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন,বিগত দিনে উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছি তা জনগন মূল্যায় করে ভোট দেবেন। ভোটাররা যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এজন্য সুষ্ঠ নির্বাচন করতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি। মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার আহমেদ আলী বলেন, আপনারা অনেকেই হইতো মনে করছেন এক জাইগায় ভোট দিলে অন্য জাইগায় চলে যাবে এটার কোনই সুযোগ নেই। প্রতিটা ভোট কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষনা করা হবে। নিশ্চিত করেই ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যে কোন সমস্যা জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,পোলিং,প্রিজাইডিং,রিটানিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার,র‌্যাব,বিজিবি সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের জানানোর আহবান জানান তিনি। পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী বলেন,নির্বাচনের কারনে যেন ব্যক্তি সম্পর্ক নষ্ট না হয়। তিনি আচরন বিধি মেনে চলার জন্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,ভোটাররা তাদের পছন্নমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এবং সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ মুনছুর আলম খাঁন বলেন,প্রতিটা ভোট কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের পাশাপাশি র‌্যাব,পুলিশ,বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে। আমরা এমন নির্বাচনের আয়োজন করবো যে নির্বাচনের পর প্রার্থী সহ সকলেই যেন বলতে পারে অবাধ ও সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply