টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অপপ্রচার অবৈজ্ঞানিক (ভিডিও) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের প্রচার দেখা যাচ্ছে। যা পুরোপুরি অবৈজ্ঞানিক। তাই জনগণকে নিঃদ্বিধায় টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। তবে কেমোথেরাপী-রেডিওথেরাপী দেয়া রোগী কিংবা মারাত্মক অ্যালার্জি যাদের আছে তাদেরকে টিকা না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। টিকা নেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমেই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব বলে জানান এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ২৭ জানুয়ারি ঐতিহাসিক একটি দিন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা টিকা নেয়ার জন্য প্রস্তুত। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাহস যোগালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জয় বাংলা ধ্বনিতে শুরু হলো টিকাদান কার্যক্রম। দ্বিতীয় দিনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে টিকা নেন আইসিটি ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে শুরু হবে ভ্যাক্সিনেশন। এরইমধ্যে বিভিন্ন জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। গত বছরের ৮ মার্চ সংক্রমণের শুরু থেকে প্রথম টিকা প্রয়োগ- দৃঢ়তার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন সময়ে নানা গুজবের ধারাবাহিকতায় টিকা নিয়েও আছে নানা অপপ্রচার। ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানালেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা চলছে তার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। ইউজিসি অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, প্রথম বলছে পাবো কিনা, এখন বলছে নিবো কিনা- এরকম কথা কিন্তু এখন চলছে। এসব অপপ্রচার দূর করে জনগণ নিঃসঙ্কচে, নির্ভয়ে টিকা নিতে পারবেন। এখানে গোপনের কিছু নেই। যারা অথেন্টিক, তারা যেটি বলবে আপনি সেটি গ্রহণ করবেন। শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই, মারাত্মক অ্যালার্জি কিংবা কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি নিচ্ছেন এমন ব্যক্তিদের টিকা না নেয়ার পরামর্শ এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞের। অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ১৮ বছরের নিচে কাউকেই কিন্তু দেয়া হচ্ছে না। গর্ভবতী মহিলা এবং যারা শিশুকে দুগ্ধ পান করান তাদেরও। তৃতীয় হলো যারা মুমূর্ষু রোগী, বিছানায় শুয়ে আছে, হাসপাতালে ভর্তি, জটিল রোগ তাদেরকে টিকা না দেওয়াই ভালো। আরেকটি হলো যাদের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন আছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্টাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেয়ার ৮ সপ্তাহ পর নিতে হবে দ্বিতীয় ডোজ; এক বছর থাকবে এর কার্যকারিতা। ইউজিসি অধ্যাপক আরও বলেন, দুটি ডোজ লাগবে। প্রথম একটি নেবো, এর ৮ সপ্তাহ পর আরেকটি নিবো। প্রথম ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে অ্যান্টিবডি তৈরিতে এক থেকে দেড় মাস লেগে যায়। যখন আরেকটি ডোজ দেওয়া হয় তখন পূর্ণতা পায়। ডোজের নিয়মটাই এরকম। সবাইকে সুরক্ষিত রাখতে টিকা নেয়ার পরও মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ভ্যাকসিনও নিবো আমরা, স্বাস্থ্যবিধিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলবো আমরা
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: