অর্থপাচারে লঘু দণ্ডে হাইকোর্টের ক্ষোভ
যেই অর্থপাচার নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা সেই মামলার সাজা ১২ বছরের জেল। আর এতেই চটেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অর্থপাচার মামলার এক আসামীর জামিন শুনানিতে হাইকোর্ট বলেন, কোনভাবেই লঘু সাজা দিয়ে দুর্নীতি দূর করা যাবে না। তাই আইন সংশোধনের পরামর্শ দিয়ে যাবজ্জীবন সাজার কথা বললেন হাইকোর্ট।
সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম আলোচিত ইস্যু অর্থ পাচার। পিকে হালদার থেকে বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেউ বাদ যায়নি এ তালিকা থেকে। পাচার করা অর্থের সিংহভাগেরই গন্তব্য সিঙ্গাপুর, মধ্যপ্রাচ্য, কানাডাসহ সুইস ব্যাংক।
বুধবার বিসমিল্লাহ গ্রুপের অর্থপাচার নিয়ে তেমনই একটি মামলার শুনানি হয় হাইকোর্ট। যেখানে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগে বিসমিল্লাহ গ্রুপের চেয়ারম্যান খাজা সোলেমানসহ ৮ জনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়। সে মামলার এক আসামী সোয়েব উল কবীর জামিন চাইতে আসেন হাইকোর্টে।
এসময় দুর্নীতি ও অর্থপাচারে সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছর দেখে হতাশা প্রকাশ করেন আদালত। এধরনের অপরাধে এই লঘু সাজা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
হাইকোর্ট মন্তব্য করেন, আইনে যে সাজা দেয়া আছে তার অর্ধেক দেয়ারও এখতিয়ার নেই নিম্ন আদালতের। আর তাই দ্রুত আইন সংশোধনের কথা বলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের একই বেঞ্চে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
Tag: English News politics
No comments: