Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » আলাদা ভ্যাকসিন একত্রে কেমন কাজ করে, পরীক্ষায় যুক্তরাজ্য




একজন ব্যক্তিকে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে আলাদা কোম্পানির করোনা ভ্যাকসিন দিলে- তা একই কোম্পানির ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মতোই কাজ করবে কিনা; তা জানতে গবেষণা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ভ্যাকসিন বিতরণে আরো সহজ করা এবং যদি কোনো কারণে ভ্যাকসিন সরবরাহে বাধা আসে, তাহলে তা সামলে নেওয়ার জন্য এমন সিদ্ধান্ত। বিজ্ঞানীদের মতে, নতুন পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দিলে একই ভ্যাকসিন দেওয়ার থেকে আরো ভালো সুরক্ষা মিলতে পারে। তবে যারা এই পরীক্ষণে অংশ নিচ্ছে না তাদের জন্য আগের পদ্ধতিই অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, যাদের এরই মধ্যে ফাইজার-বায়োএনটেক অথবা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে; যুক্তরাজ্যের অনুমোদিত ভ্যাকসিন কর্মসূচির অওতায় তাদের ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে অন্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। তবে গবেষকদের নতুনভাবে মিশ্রণ করে ভ্যাকসিন প্রদানের উপর বিশ্বাসের ভালো কারণ আছে। এর আগে ইবোলার সময়েও এভাবে মিশ্রণ করে ভ্যাকসিন দেওয়ার ফলে সুরক্ষা বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। ন্যাশনাল ইমিউনাইজেশন শিডিউল ইভালুয়েশন কনসোর্টিয়ামের পরিচালিত কম-কভ গবেষণায় ইংল্যান্ডের ৫০ বছরের বেশি বয়সী ৮০০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিবে। অংশগ্রহণকারীদের চার বা ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে একদফায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে অন্য ডোজে দেওয়া হবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেলে অন্য ভ্যাকসিনগুলোও এতে যোগ করা হবে। বিজ্ঞানীরা স্বেচ্ছাসেবকদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা তা খেয়াল করবেন আর খেয়াল রাখবেন তাদের রক্ত পরীক্ষার উপর যে কিভাবে তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। পরিপূর্ণ গবেষণা পরিচালিত হতে ১৩ মাস লাগবে, তবে প্রাথমিক কিছু ফলাফল জুনের মধ্যেই ঘোষণা করতে পারবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণা থেকে আরো জানা যাবে, নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপর এই ভ্যাকসিনের প্রভাব কতটা আর ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ পরে দেওয়া দ্বিতীয় ডোজের প্রভাব কতটা। দ্বিতীয় ধাপে তরুণদের উপর যেসব ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তাদের কোন ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা এই গবেষণা থেকেই নির্ধারণ করা যাবে। ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার প্রফেসর জোনাথন ভ্যান ট্যাম বলেন, সরবরাহের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশ্বের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার চ্যালেঞ্জের মধ্যে এমন কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার সুবিধা হলো তা প্রয়োজন হলে ও নিয়ন্ত্রকের অনুমোদন পেলে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমকে নমনীয় করবে। তিনি যোগ করেন, এভাবে ভ্যাকসিন মিশ্রণ করণে রোগপ্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সেটা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবডি লেভেল দিবে সেটা বেশি সময় স্থায়ী হবে। তবে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের বিশ্লেষণ ছাড়া তা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply