Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » পরকীয়ার জেরে নোবেল পুরস্কারের টাকায় স্ত্রীকে তালাক




আলবার্ট আইনস্টাইন। নামটি মনে আসলেই একজন সৌম্যদর্শন পুরুষের কথাই আমাদের মনে আসে। বিজ্ঞানী হলেও, তাকে নিয়ে সবার তারকাদের মত আগ্রহ রয়েছে। তবে বিজ্ঞানী হিসেবে পৃথিবীর অনেক কিছু বদলে দেয়া এই মানুষটি নানা কারণে সমালোচিতও হয়েছেন। সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া আইনস্টাইন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন এটা আমাদের সবার জানা। কিন্তু পুরস্কার থেকে পাওয়া টাকা আইনস্টাইন কি করেছিলেন সেটা কি আমরা জানি? ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আর এই দিনটাতেই বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের দীর্ঘদিনের বৈবাহিক জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। যে বিচ্ছেদের জন্য তিনি খরচ করেছিলেন নোবেল পুরষ্কারের পুরো অর্থ এবং সেটা ছিল পুরোপুরি স্বেচ্ছায়। আলবার্ট কিন্তু বাকপটু ছিলেন না, তবে অধিক নারীতে আসক্ত ছিলেন। সে কথা নিজ মুখেই স্বীকারও নাকি করেছেন অনেকবার। আর এই পরকীয়ার জেরেই বিচ্ছেদ হয় প্রথম স্ত্রী মিলোভার সঙ্গে। দীর্ঘদিনের প্রেমের পর মিলোভাকে বিয়ে করেন আইনস্টাইন। আর এই স্ত্রীর সম্বন্ধে নিজে বলেন, মিলোভা এমন এক সৃষ্টি যে তার সমান এবং তার মতই শক্তিশালী ও স্বাধীন। কারণ মিলোভাও পদার্থ বিজ্ঞানী ও একজন গণিতবিদ ছিলেন। আইনস্টাইনের সাথে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জুরিখ পলিটেকনিকে তিনিই ছিলেন একমাত্র নারী শিক্ষার্থী এবং গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে কোর্স সমাপ্ত করা দ্বিতীয় নারী। সন্তান নিয়ে ব্যস্ততা এবং অ্যালবার্টের সাথে আজ এখানে, কাল ওখানে করতে করতে তার নিজের পেশাগত জীবন আর দাঁড়ায়নি। এই হতাশার সাথে যোগ হয় তালাকপ্রাপ্ত খালাত বোন এলসার সাথে স্বামী আলবার্টের প্রেমের যাতনা। স্বামীর রূঢ় আচরণের শিকার হন মিলোভা। একসাথে সংসার করতে হলে আলবার্ট আইনস্টাইন কিছু অস্বামীসুলভ শর্ত আরোপ করেন স্ত্রী মিলোভার ওপর। কিন্তু আইনস্টাইনের তিন সন্তানের জননী মিলোভা যুক্তিসঙ্গতকারণে বিচ্ছেদ ঠেকাতে তার সব শর্ত মেনে নেন। তবুও শেষ রক্ষা হয় না। তালাক দিতে মরিয়া হয়ে আইনস্টাইন যে চিঠি লেখেন তা ছিল কিছুটা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবের মতো এবং শেষে কিছুটা হুমকিও। শেষমেশ ১৯১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী এলসাকে বিয়ে করেন আইনস্টাইন। কিন্তু এলসার মৃত্যুর পরও অযত্নের অভিযোগ ওঠে আইনস্টাইনের বিরুদ্ধে। স্বামী হিসেবে যে তিনি আদর্শ নন এবং এক নারী নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার নন নিজেই স্বীকার করে গেছেন সে কথা। আইনস্টাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীর যন্ত্রণা প্রত্যক্ষ করা এড়িয়ে যেতে কাজের দোহাই দিয়ে তিনি সরে থাকতেন।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply