সেনারাই যেন মিয়ানমারের মালিক!
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী দেশটিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ দেশটির অর্থনীতিতে বেশির ভাগ সম্পদই সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সম্প্রতি জাপান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির সবচেয়ে বড় দুটি মাল্টি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস লিমিটেড (এমইএইচএল) এবং মিয়ানমার ইকোনমিক কো-অপারেশনের (এমইসি) মালিকানা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাতে। এদিকে এই গ্রুপ দুটির আওতায় অন্তত ১৩৩টি কোম্পানি রয়েছে। এগুলো বর্তমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এসব কোম্পানির বিশাল বাণিজ্য বিস্তারের কারণে দেশটির বেশির ভাগ খাতের ব্যবসা তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে জানিয়েছে জাস্টিস ফর মিয়ানমার (জেএফএম)। তবে রত্নপাথরই সামরিক বাহিনীর লাভজনক প্রজেক্ট। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জেড পাথর উৎপাদক ও রফতারিকারক দেশ। জেড হচ্ছে দামি অলঙ্কারে ব্যবহৃত সবুজ পাথর। মিয়ানমার হচ্ছে এমইএইচএলের হাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি জেড খনির লাইসেন্স। গ্রুপটির আওতাধীন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা রয়েছে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে। রফতানি ছাড়াও দামি পাথরগুলো চীনে পাচারও হয়। সেপ্টেম্বরে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তারা ১৯৯০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বেতন-ভাতা হিসাবেই নিয়েছেন ১৮শ’ কোটি ডলারের বেশি। জান্তাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং এমইএইচএলের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার। এসব কোম্পানি পরিচালনায় সরকারি আইনকানুন অনুসরণ করা হয় খুবই কম। ফলে রাষ্ট্রীয় তহবিলে রাজস্ব ঠিকমতো জমা পড়ে না। ফ্রেন্স ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সের এশিয়া পরিচালক ফ্রাঙ্কোইজ নিকোলাস বলেন, ‘প্রায় অর্ধশতাব্দীর সামরিক শাসনে সামরিক কর্তারা নিজেদের ধনী করে নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। গত নভেম্বরে সু চির দল এনএলডির একচেটিয়া জয় সামরিক বাহিনীর আর্থিক নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার আশঙ্কা সামনে নিয়ে আসাতেই তারা ফের অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে।’Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments: