সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমার জুড়ে প্রতিবাদ
সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মিয়ানমার জুড়ে প্রতিবাদ বাড়ছে। ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা। আইন অমান্যসহ নানান পন্থায় সেনাশাসনের বিরোধীতা করছেন দেশটির নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার রাতে ইয়াঙ্গুনের বাসিন্দাদের থালা বাসন বাজানো ও গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
বড় বড় বিভিন্ন শহরের স্বাস্থ্যকর্মীরাও ধর্মঘট করার পরিকল্পনা করছেন। সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তাররা বলছেন, তারা বুধবার থেকে কাজ করা বন্ধ করে দেবে সু চির মুক্তির জন্য চাপ দিতে। কিছু কিছু ডাক্তার নিশ্চুপ প্রতিবাদের কিছু প্রতীকও পরিধান করবেন।
আইন অমান্য করার আহ্বান জানিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির অ্যাক্টিভিস্টরা। যুবক ও তরুণদের ওই দল একটি ফেসবুক পেজও খুলেছেন, যেটাতে এরই মধ্যে লাইক পড়েছে ১ লাখ।
যদিও সংবাদদাতারা বলছেন সামরিক নিয়ন্ত্রণ খুব দৃঢ়। সেই সঙ্গে নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির মুক্তির জন্যও আহ্বান বাড়ছে। আটক হওয়ার পর থেকেই তাকে কোথাও দেখা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে তিনি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট গৃহবন্দী আছেন।
মিয়ানমারের ১০০ জনেরও বেশি আইনপ্রণেতারা সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন রাজধানী নেপিদোতে তাদের বাসস্থানে। তবে এখন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এনএলডি সু চির দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। তারা ৮০ শতাংশ জয়ের ফলাফল গ্রহণ করে নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনীকে। সেনাবাহিনী নতুন নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রধান নিয়োগ করেছে। আগের কমিশন নির্বাচনে কোনো জালিয়াতির প্রমাণ পায়নি।
সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোমবার মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে।
তার পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সাং সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী।
পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা।
Tag: English News world
No comments: