Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » গাংনীতে চরম বিড়ম্বনায় মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের দৌরাত্বে




মেহেরপুরের গাংনীতে মাটি বোঝাই ট্রাক্টরের

অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকবাসি। একদিকে ট্রাক্টরের ট্রলির মাটি রাস্তায় পড়ে ধুলাবালিতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে কাঁচা পাকা রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে দূর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষের নিরব ভুমিকার কারনে ট্রাক্টর ট্রলি চালক ও ইটভাটা মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকাবাসি। প্রভাবশালীদের খুঁটির জোরে এসকল ট্রাক্টর চলছে বহাল তবিয়তে। জানা গেছে, চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত ট্রাক্টর এখন অর্ধশতাধিক ইটভাটায় ইট ও মাটি পরিবহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শহর থেকে গ্রামীণ জনপদে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাক্টর। এসকল ট্রাক্টরের বৈধ রুট পারমিট নেই। তাছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ বছরের শিশু-কিশোররাও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। একারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। ট্রাক্টর ট্রলি দিয়ে দুর দুরন্ত থেকে মাটি বহন করার ফলে ট্রলি থেকে মাটি রাস্তায় পড়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ছে সড়কে চলাচলকারীরা। এছাড়া বিরামহীন চলাচলে শব্দ দুষণেও আশপাশের গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এসব অবৈধ যন্ত্রদানবের প্রতি নজর নেই গাংনী উপজেলা প্রশাসনের। প্রশাসনের নীরব ভুমিকায় জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জুগিন্দা সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসি। কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ট্রাক্টর ট্রলিতে মাটি বহন করার কারনে একদিকে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। সরকারের কোটি কোটি টাকার রাস্তাঘাট ধ্বংস করছেন ট্রাক্টর ও ট্রলি। মাটি বহনের কারনে কোনটি কাঁচা আর কোন কার্পেটিং রাস্তা বোঝার কোন উপায় নেই। পথচারীরা জানান, ট্রাক্টর চলাচলের সময় আশপাশ এলাকায় কুয়াশার মতো ট্রাক্টরের সৃষ্ট ধুলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। আর ধুলোর মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করায় সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট রোগ আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার শিশুসহ সব বয়সের মানুষেরা। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ ও রাখার সার্থে দ্রত সময়ের মধ্যে ট্রাক্টর বন্ধের দাবি করেন তারা। মেহেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (টিআই) জাহাঙ্গীর কবির বলেন,ট্রাক্টর ট্রলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। থানা পুলিশকে রাতে চলাচলকারী ট্রালির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের উর্দ্ধর্ত্বন কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি গাংনী ইটভাটা মালিক সমিটির সভাপতি এনামুল হক ও সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান আতু। এবিষয়ে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড.মুনসুর আলম খাঁন বলেন বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ৮নংধানখোলা ইউপি জুগিন্দা, বাগুদা টেপা সহ কয়েটি গ্রামে চলাচলের রাস্তা দিয়ে সকাল ৭টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত মাটি বোঝাই ট্রাষ্টর চলাচলের কারনে এতদা অঞ্চলের দুবিসহ জীবন যাপন করিতেছে গ্রামবাসীরা। জুগীন্দা চায়ের দোকানদার মকলেছুর জানান প্রতিদিন প্রায় ৩০টি ইটভাটা মাটি বোঝাই ট্রাষ্টর একটি রাস্তা দিয়ে চলাচলের কারনে আমার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। জুগীন্দা জামে মসজিদের মুসুল্লিরা জানান এই গ্রামে ২টি মসজিদ রাস্তা পার্শে হওয়ার কারনে মাটি বোঝাই ট্রাষ্টর শব্দের কারনে নামাজ কালাম পড়াই বিঘ্নীত হয়। পথচারী আমজাদ,আবুল কালাম, আব্দুর রহমান, সহ শত শত মানুষের অভিযোগ মাটি বোঝাই ট্রাষ্টর কারনে শিশু কিশোরদের বাড়ীতে বের হতে পারছেনা। অতিরিক্ত ধুলাবালি ও দুরঘটনার ভয়ে কারনে শিশু কিশোরদের মনে উপর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। বাড়ী ঘরে জিনিসপত্র ধুলাবালিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ৮নং ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন ধানখোলা ইউপি বিভিন্ন গ্রামের রাস্তা ইটভাটার মাটি বহনের ট্রাষ্টর মালিকদের দখলে জনসাধরনের চলাফেরা কোন রকম ব্যবস্থা নেই এবং তিনি আরো জানান বিগত আইন শৃস্খলা মিটিং বিষয়টি আমি উত্থাপন করে ছিলাম।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply