Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » বিশেষ ছাড়ে কমেছে খেলাপি ঋণ




ঋণ কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি করোনা মহামারীর কারণে বিশেষ ছাড় দেয়ায় কমেছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। গত ৩ মাসের ব্যবধানে এই ঋণ কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। খেলাপি ঋণ নিয়ে প্রস্তুত করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। যা ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর ডিসেম্বর শেষে মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে মোট খেলাপি ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এই হিসাবে গত ৩ মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) খেলাপি ঋণ কমেছে ৬ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৬ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। করোনায় অর্থনীতির ক্ষতি বিবেচনায় গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরো এক বছর কাউকে খেলাপি না করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সময় কোনো ঋণগ্রহীতা নিয়মিত কিস্তি না দিলেও ব্যাংকগুলো তাকে খেলাপি করতে পারেনি। প্রথমে এই ছাড় ছিল জুন পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফায় সেপ্টেম্বর ও তৃতীয় দফায় ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়। তবে চলতি বছরের শুরু থেকে এই ছাড় তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেবল মেয়াদি ঋণের কিস্তি দুই বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও ব্যাংক মালিকেরা গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরকে করোনার কারণে অপরিশোধিত ঋণের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হওয়ার অনুরোধ জানান। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এই বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানা গেছে। ২০১৯ সালের শেষ দিকে সহজ শর্তে খেলাপি ঋণ নবায়নের সুযোগ পেয়ে অনেকেই মাত্র ২ শতাংশ নগদ জমা দিয়ে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করিয়ে নেয়। এ সুবিধার আওতায় ২২ হাজার কোটি টাকার মতো খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয় বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২০ সালের জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৯৬ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। আর মার্চে ছিল ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত জুন-জুলাই মাসে অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য সব কিছু খুলে দেয়া হলে ব্যবসায় গতি আসতে থাকে। তাছাড়া বাজারে প্রণোদনার টাকা ছাড়ার পর অনেক ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এতে চাঙ্গা হতে থাকে অর্থনীতি। এ কারণে ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ কমেছে। তাছাড়া নতুন করে খেলাপি হচ্ছে না। আবার অনেকে পুরনো ঋণ পরিশোধ করছেন, পুনঃতফসিলও করছেন। এ কারণে এবার খেলাপি ঋণ কমেছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা। সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ সরকারি ব্যাংকগুলোতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা, যা এ খাতের বিতরণ করা ঋণের ২১ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা, যা এ খাতের ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা। তথ্যমতে, এ দুই খাতের খেলাপি ঋণের হার যথাক্রমে ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply