Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » নিশিন্দা ক্রনিক ব্যথা, জ¦র, বাত জ¦র, বাত ব্যথা, মাথা ব্যথা উপশম কর




নিশিন্দাকে ছোট আকারের পত্রঝরা বৃক্ষ অথবা বড় আকারের গুল্মও বলা যায়। গড় উচ্চতা ৪ থেকে ৫ মিটার হয়ে থাকে। এর পরিবার-ঠবৎনবহপবধব, উদ্ভিদতাত্তি¡ক নাম-ঠরঃবী হবমঁহফড় খরহহ। অন্যন্য নামের মাঝে-ঝধসধষঁ, ঈযধংঃব ঞৎবব, ঘড়পযর, ঘরৎমঁহফর ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আমাদের দেশের প্রায় সবর্ত্রই নিশিন্দা গাছ চোখে পড়ে। গাছ খুবই কষ্ট সহিষ্ণু এবং পরিবেশ প্রতিক‚লতার মাঝেও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম। রাস্তার ধার, জমির আইল, বঁাধের ধার, পতিত জমি, বন-জঙ্গল ও পাহাড়ের ঢালে নিশিন্দা গাছ জন্মাতে দেখা যায়। তবে চট্টগ্রাম ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নিশিন্দা গাছ বেশি দেখা যায়। গাছের কাঠ ও শাখা-প্রশাখা বেশ শক্ত মানের হয় এবং গাছের বৃদ্ধি ধীরগতি সম্পন্ন। গাছের কাঠের রং ধূসর থেকে সাদা। এর কাঠ বিভিন্ন ধরনের নিমার্ণ কাজ ও গ্রামাঞ্চলে জ¦ালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। ছাই থেকে রং তৈরি করা হয়। গাছের শাখা-প্রশাখা অধিক। যৌগিক পাতা লম্বায় ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার। গঠন অসমান ও বষার্কৃতির, অগ্রভাগ সুচালো এবং ৩ থেকে ৫ ফলকবিশিষ্ট। রং গাঢ় সবুজ। পাতা কচলালে তা থেকে উগ্র গন্ধ বের হয়। এর ফুল ফোটার মৌসুম বষার্ ও শরৎকাল। এ সময়ে গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে লম্বা ঊধ্বর্মুখী মঞ্জুরিতে থোকায় থোকায় ক্ষুদ্রাকৃতির নীলাভ থেকে বেগুনী রঙের ফুল ফোটে। ফুল মঞ্জুরির নিচ থেকে ফোটা শুরু হয়ে ধীরে ধীরে উপরেরগুলো ফোটে। ফুটন্ত ফুলের সৌন্দযর্ মনোরম ও নজরকাড়া। ফুল গন্ধহীন। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফল আকারে ছোট ও ডিম্বাকৃতির। বীজ থেকে নিশিন্দার বংশ বিস্তার করা যায়। তবে ডাল কাটিং পদ্ধতির মাধ্যমে এর বংশ বিস্তার সহজ ও প্রচলিত। বতর্মান সময়ে নিশিন্দা চাষের প্রচলন তেমন না থাকলেও হেজ (ঐবফমব) উদ্ভিদ হিসেবে এর বহুল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। নিশিন্দার পাতা, ফুল, ফল, বীজ, মূল সবই ভেষজগুণে গুণান্বিত। গরম পানিতে পাতার নিযার্স ক্রনিক ব্যথা, জ¦র, বাত জ¦র, বাত ব্যথা, মাথা ব্যথা উপশম করে। তাছাড়া সব ধরনের চমের্রাগ, সদির্, হঁাপানি, ঠাÐা জনিত রোগে নিশিন্দা বেশ কাযর্কর। কোথাও কোথাও নিশিন্দা পাতা সেদ্ধ করে সে পানি দিয়ে শিশুদের গোসল করাতে দেখা যায়। তাছাড়া নিশিন্দা গাছের শাখা-প্রশাখা ও পাতা পোকা-মাকড়রোধি। তাইতো কৃষিতে রয়েছে এর জৈব ব্যবহার বহুকাল ধরে। এর পাতা রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে বীজের সাথে মিশিয়ে বীজ সংরক্ষণ করলে তাতে পোকার আক্রমণ হয় না এবং পাতার রস থেকে তৈরি করা জৈব কীটনাশক ব্যবহার পরিবেশসম্মত ও অথর্ সাশ্রয়ী চাষাবাদে ভূমিকা রাখে। সাবির্ক বিবেচনায় মানব কল্যাণে নিশিন্দা প্রকৃতি ও পরিবেশের এক অনন্য উপহার।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply