Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে কয়লা বোঝাই জাহাজডুবি




মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৪০০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই এমভি ইফসিয়া মাহিন নামক একটি লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। অতিরিক্ত পানির স্রোতে মঙ্গলবার দুপরে বন্দর জেটির অপর পাশে কাটাখালী নামক এলাকায় লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই জাহাজটিতে থাকা ৯ জন স্টাফ ও একজন নিরাপত্তাকর্মী সাঁতার কেটে কুলে উঠে আসে। এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মোংলা পশুর চ্যানেলে ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে গিয়েছিল এমভি বিবি -১১৪৮ নামক অপর একটি লাইটার কার্গো জাহাজ। ডুবে যাওয়া লইটার কার্গো জাহাজ এমভি ইফসিয়া মাহিনের মাস্টার মো. শাহালম জানান, মোংলা বন্দরের হাড়িবাড়িয়ার ৬ নম্বরে থাকা একটি বিদেশি জাহাজ থেকে ২৮ মার্চ রোববার ভোরে কয়লা বোঝাই করেন তারা। কার্গোটিতে প্রায় ৪শ’ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই শেষে পশুর নদীর বানীশান্তা বাজার বয়ায় অবস্থান করছিল যশোর নওয়াপাড়ার উদ্দেশে যাওয়ার জন্য। সেখানে থাকাকালে মঙ্গলবার দুপুরের আগে প্রচণ্ড পানির স্রোতে বয়া থেকে কার্গো জাহাজে বাঁধা রশি ছিঁড়ে যায়। তিনি বলেন, এ সময় এমভি ইফসিয়া মাহিনসহ বেশ কয়েকটি জাহাজ ওই বয়া থেকে ছুটে যায়। পরে ওই জাহাজগুলো দুর্ঘটনা এড়াতে যে যার মত নিরাপদে সরতে থাকে। এ সময় ওই সকল কার্গোর মধ্যে একটির সাথে ধাক্কা লাগে ইফসিয়া মাহিনের। এতে ইফসিয়া মাহিনের বাম পাশের হ্যাচ ফেটে যায়। তারপরও জাহাজটি বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেন তিনি। জাহাজটি ভাসতে ভাসতে বানীশান্তা থেকে কাটাখালী গেলে সেখানে ফাটা জায়গা হতে পানি উঠতে উঠতে এক পর্যায়ে ডুবে যায়। তবে ডুবন্ত জাহাজটি পশুর চ্যানেলের বাইরের চরের দিকে ডুবায় মুল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। জাহাজটির ধারণক্ষমতা ছিল ৫০০ মেট্রিক টন। আর বোঝাই করা হয়েছিল ৪০০ মেট্রিক টন। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ৭শ’ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় অপর একটি লাইটার কার্গো জাহাজ এমভি বিবি-১১৪৮। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ও পশুর নদীতে অন্তত ১৩টি লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সব থেকে আলোচিত সুন্দরবনের শেলা নদীতে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ফার্নেস ওয়েলবাহী ওয়েল ট্যাংকার ওটি সাউদান স্টার সেভেন। এছাড়া পশুর নদীতে ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল ৭শ’ ৭৫ টন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাশ, ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি ১ হাজার মে. টন কয়লা নিয়ে এম ভি আইচ গাতী, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর ৬শ’ মে. টন কয়লা নিয়ে এমভি জিয়ারাজ নামের লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে। একই বছর ২০১৫ সালের ৫ মে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের মরা ভোলা নদীতে সার নিয়ে এম ভি জাবারে নুর ও ১ ডিসেম্বর ৭শ’ ৪০ মে. টন সিমেন্টের কাঁচামাল নিয়ে শোভন-১ সহ অন্তত ১৩টি লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় পরিবেশবাদীদের দাবির মুখে গহীন সুন্দরবনের মধ্র থেকে এ সকল নৌযান চলাচল কিছুটা সীমিত করা হয়েছে। তবে পশুর নদীতে একের পর এক দুর্ঘটনায় পরিবেশবাদীরা আবারও পরিবেশ রক্ষায় নানা আশঙ্কা করছে। সেই সাথে সরকারের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ জানিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুন্দরবন অ্যাকাডেমির পরিচালক প্রফেসর একে ফজলুল হক বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে জলযানের মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার। সেইসাথে চালক কর্মচারীদের দক্ষতা তৈরি ও বিপর্যয়ের মুখে তাদের করনীয় বিষয়ে প্রস্তুত থাকার সক্ষমতা থাকা দরকার। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা বলেন, দুর্ঘটনা ও দূষণ রোধে বন্দর একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ফলে নদীতে কি ধরনের দূষণ হচ্ছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারবো এবং পরিবেশের যে প্রয়োজনীয়তা তা রক্ষা করতে পারবো






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply